সাধারণত আমরা মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে বা ভাজে খেতে বেশি পছন্দ করি । মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, থায়ামিন এবং জিঙ্ক, যা সারাদিনের শরীরের প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট । তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি মিষ্টি আলু খাওয়ার যত উপকারিতা আছে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কিন্তু কম নয়।
আপনি যদি রাতে মিষ্টি আলু খান তবে আপনার ওজন দ্রুত বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, রাতে মিষ্টি আলু খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়াও হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি আলু খাওয়ার সঠিক সময়।
আরও পড়ুনঃ হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
সকালের ব্রেকফাস্ট এ মিষ্টি আলু খাওয়া ভালো
আপনি যদি সকালে একটি মিষ্টি আলু খান তবে এটি আপনাকে সারা দিন শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, মিষ্টি আলু আপনার কোষকে প্রতিদিনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই সকালের জলখাবারের সাথে মিষ্টি আলু অবশ্যই রাখুন । এছাড়াও, আপনার চোখকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি, এটি আপনার হৃদযন্ত্র এবং কিডনির জন্যও ভাল।
রাতে মিষ্টি আলু খাওয়ার অপকারিতা
আসলে মিষ্টি আলুতে অধীক পরিমানে ক্যালরি থাকে । যেহেতু আমরা রাতে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পরি, শারিরিক ভাবে কোন পরিশ্রম করি না তাই অধীক পরিমানে জমতে থাকা ক্যালরি আমাদের ওজন বাড়ায়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে রাতে মিষ্টি আলু খেলে আপনার শরীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃলকডাউন নয়,তবে পরিস্থিতির ওপর করা নজর রাখছে দিল্লি সরকার
আপনার হৃদরোগ থাকলে বা হৃদযন্ত্রে সমস্যা থাকলে অতি অবশ্যই মিষ্টি আলু এড়িয়ে চলুন ।যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদেরও মিষ্টি আলু খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।মিষ্টি আলুতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে । তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই মিষ্টি আলু খাওয়া উচিত।
মিষ্টি আলুর উপকারিতা
মিষ্টি আলুতে কম গ্লাইসেমিক রয়েছে এবং এর ব্যবহার ইনসুলিনের উৎপাদন ও কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।ফাইবার ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা, এবং ইনসুলিনের মাত্রা উন্নত করতেও সাহায্য করে।মিষ্টি আলু হজমশক্তির উন্নতিতে সহায়ক।এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে ।