দিন দিন বাড়ছে ক্যানসারের প্রবনতা। ক্যানসারের মত জটিল রোগ আগে খুব কম মানুষের মধ্যে দেখা যেত কিন্তু বর্তমানে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, জীবন ধারার ক্ষেত্রে অনিয়ম ইত্যাদির কারণে মানুষের শরীরে দেখা দিচ্ছে জটিল রোগ। ক্যানসারের অনেক কারণ আছে, তবে এসব কারণের বেশিরভাগের জন্য ব্যক্তি নিজেই দায়ী। বিশেষজ্ঞদের মতে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে মাত্র 5 থেকে 10 শতাংশ জেনেটিক। বাকি ক্যান্সার জীবনধারা বা পরিবেশের কারণে হয়।
শুধু তাই নয় তামাক ক্যান্সারের মৃত্যুর 25 থেকে 30 শতাংশের জন্য দায়ী। বাকি ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাঁদের অনিয়মিত খাদ্যাভাসের কারণে। মানুষের খাদ্যাভ্যাস এতটাই খারাপ হয়ে গেছে, যার কারণে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বেড়েছে বহুগুণ। সকালের খাবার থেকে শুরু করে সারাদিনের খাবারের রুটিনে এমন কিছু খাবার তাঁরা গ্রহন করছে যার জন্য তাঁদের শরীরে ক্যান্সারের মত জটিল রোগ বাসা বাঁধছে। আজই সকালের খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন এই খাবারগুলি।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গোলাপি ফল-সব্জির গুরুত্ব
চায়ের সঙ্গে নিয়মিত বিস্কুট খেলে ক্যান্সার হতে পারে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে আল্ট্রা প্রসেসড কুকিজ ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশাপাশি সকালে অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার যদি বেশি সেবন করা হয় সেক্ষেত্রে ডিম্বাশয় এবং মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
আরও পড়ুনঃ এই লঙ্কার দাম প্রতি কেজিতে ৭ হাজার টাকা, চাষ শুধুমাত্র ভারতে হয়
বর্তমান প্রজন্মের সকালে উঠে একটি প্রিয় খাবার হল ব্রেড বাটার। এতে ওভারিয়ান ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার রিসার্চ ফান্ড তাদের সমীক্ষায় বলেছে যে নিয়মিতভাবে উৎপাদিত পাউরুটি, আইসক্রিম, ইত্যাদি ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই সকালে চায়ের সঙ্গে আলু চিপস খান। এই আলুর চিপসে অতিরিক্ত পরিমাণে সোডিয়াম ও ট্রান্স ফ্যাট ব্যবহার করা হয়। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায়।
শহরগুলিতে প্রক্রিয়াজাত মাংস থেকে তৈরি খাবারের ব্যবহার বেড়েছে। প্রক্রিয়াজাত মাংসে অনেক ধরনের কার্সিনোজেনিক রাসায়নিক থাকে, যার কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। লাল মাংস অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে। তাই সকালের খাবারে কখনই প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া উচিত নয়।