ফরম্যালিন খাবার সতেজ দেখাতে খাদ্যের উপর প্রয়োগ করা হয়। আজকাল মাছ সহ অন্যান্য খাদ্যেও এর প্রয়োগ করা হয়। যেমন ফল, সবজি ইত্যাদি টাটকা রাখতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ফরম্যালিন দ্রবণ ব্যবহার করছে। আর সাধারণ মানুষ অজান্তেই নিজেদের শরীরে বিষ সঞ্চয় করে চলেছে। তবে মানব স্বাস্থ্যের উপর এর কিন্তু ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে সেবন করলে এটি ক্যান্সারের কারণ পর্যন্ত হতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন মাছে ফরম্যালিন রয়েছে?
আপনার কেনা মাছে ফরম্যালিন রয়েছে কিনা তা জানার কয়েকটি উপায় রয়েছে, তা নিম্নে বর্ণনা করা হল -
-
যদি মাছটি ফরম্যালিন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয় তবে তা তীব্র গন্ধ যুক্ত হবে।
-
মাছ যদি ফরম্যালিন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয় তবে এতে কোনও মাছি বসে থাকবে না কারণ মাছি ফরম্যালিন-সংরক্ষিত মাছের কাছে উড়ে বেড়ায় না।
মানুষের স্বাস্থ্যে এই রাসায়নিক প্রভূত ক্ষতি সাধন করে। তাই বাজার থেকে কিনে আনা ফলে ফর্মালিন / ফর্মালডিহাইড আছে বলে সন্দেহ হলে তা নুন জলে (নুন : জল, ১০ : ৯০ অনুপাতে ) দেড় ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে ৯৫% ক্ষতিকর ফর্মালিন মুক্ত হবে। সবজিকেও ভিনিগার ও জলের মিশ্রণে (২০% ভিনিগার ও ৮০% জল ) ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে প্রায় ৯৫% ফর্মালিন মুক্তি সম্ভব। এর পর আবার সেগুলিকে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
মাছকে ফরম্যালিন মুক্ত করতে প্রথমে নুন জলে দেড় ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে ৬০% ফর্মালিন দূর হবে এরপর ভিনিগার ও জলের মিশ্রণে (২০% ভিনিগার ও ৮০% জল ) বেশ কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে প্রায় ১০০% ফর্মালিন মুক্তি সম্ভব।
আরও পড়ুন - চা পান করতে ভালোবাসেন? কোন চা বাড়াবে এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
ফরম্যালিনের ক্ষতিকর প্রভাব –
ফরম্যালিন লিভার, কিডনি, হার্ট ইত্যাদির ক্ষতি করে। বেশী পরিমাণে ফরম্যালিন শরীরে গেলে আলসার, গ্যাসট্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যানসার ইত্যাদি হতে পারে। এই রাসায়নিক সরাসরি বোনম্যারোতে প্রভাব করে অ্যানিমিয়া, ব্লাড ক্যানসার সৃষ্টি করে। গর্ভবতী মহিলা ও নবজতকের পক্ষে এটি মারাত্মক ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন - প্রতিদিনের যোগব্যায়াম আপনাকে রক্ষা করতে পারে করোনা মহামারী থেকে