বছরব্যাপি শুধু ডিম উৎপাদনের জন্য যেসব মুরগি পালন (Poultry Farming) করা হয় সেগুলোকে বলে লেয়ার মুরগি। এ ধরনের মুরগি ১৮ থেকে ১৯ সপ্তাহ বয়স থেকে ডিম দিতে শুরু করে এবং টানা ৭২ থেকে ৭৮ সপ্তাহ বা প্রায় দেড় বছর বয়স পর্যন্ত ডিম দেয়। ডিম উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে ডিমের আকার বড় হতে থাকে এবং ৪০ সপ্তাহ বয়সের পর মুরগির ওজন বৃদ্ধি স্থিতিশীল হয়। ৫০ সপ্তাহ বয়সের পর ডিমের ওজন স্থিতিশীল পর্যায়ে আসে।
ডিমের উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে লেয়ার মুরগির খামারে কোনো মোরগ মুরগি (rooster) রাখা হয় না। ফলে এই ডিমের বাচ্চা ফোটে না। অবশ্য লেয়ার মুরগি সাধারণত ডিমে 'তা' দেয় না, বা ডিম নিয়ে বসে না।
হাইব্রিড বা উন্নতজাতের লেয়ার মুরগিকে সাধারণ দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। এটি করা হয় ডিমের রঙের ভিত্তিতে।
এর মধ্যে সাদা ডিম দেওয়া লেয়ার মুরগির জাতগুলো আকারে তুলনামূলক ছোট।এরা খাদ্যও তুলনামূলকভাবে কম খায়। যদিও ডিমের খোসার রঙ আলাদা হওয়ার কারণে ডিমের গুণগত মানে কোনো পার্থক্য নেই। তারপরও আমাদের দেশে মানুষ সাদা ডিম কিনতে চায় না। ফলে সাদা ডিমের দামও বাজারে কম।
১.সাদা ডিম দেওয়া মুরগির জাতের মধ্যে রয়েছে:
ইসা হোয়াইট, লোহম্যান হোয়াইট, নিকচিক, ব্যবকক-বিভি-৩০০, হাবার্ড হোয়াইট, হাই সেক্স হোয়াইট, শেভার হোয়াইট, হাইলাইন হোয়াইট, বোভান্স হোয়াইট।
২.বাদামী রঙের ডিম পাড়া মুরগিগুলো তুলনামূলকভাবে আকারে বড়। এরা খাদ্য বেশি খায়, ডিমের খোসার রঙ বাদামী। এই জাতের মুরগির মধ্যে রয়েছে:
ইসা ব্রাউন, হাই সেক্স ব্রাউন, শেভার ৫৭৯, লোহম্যান ব্রাউন, হাই লাইন ব্রাউন, ব্যবকক-বিভি-৩৮০, গোল্ড লাইন, ব্যবলোনা টেট্রা, ব্যবালোনা হারকো, হাবার্ড ব্রাউন।
আরও পড়ুন - Crab Farming – কাঁকড়া চাষ করে কীভাবে লাভবান হবেন? জেনে নিন আধুনিক উপায়ে কাঁকড়া চাষের পদ্ধতি
বিশেষ দ্রষ্টব্য –
লেয়ার মুরগি জাত ভেদে ২৬ সপ্তাহ থেকে ৩০ সপ্তাহ বয়সে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিম পাড়ে। সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিম পাড়তে শুরু করার পর কিছুদিন স্থিতিশীল থাকে এবং পরবর্তী সময়ে ডিম উৎপাদনের হার আস্তে আস্তে কমতে থাকে।
যদি খামারের মধ্যে রোগ হয় তবে তাড়াতাড়ি নিকটতম পশুচিকিত্সককে নিয়ে আসুন এবং যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করুন। সর্বদা ঠিক সময় হাঁসের রোগ প্রতিরোধক ভ্যাকসিন প্রয়োগ করুন।
আরও পড়ুন - Tulip Farming - টিউলিপ ফুলের চাষ করে কৃষকবন্ধুরা হয়ে উঠুন লাভবান