আপনি দিনের যে কোনও সময় খেজুর খেতে পারেন। খেজুর এনার্জি সমৃদ্ধ একটি ফল। অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, আপনি যদি ওজন হ্রাস করার চেষ্টা করছেন, তবে আপনার প্রতিদিন ৪-৬ টি খেজুর খাওয়া উচিত।
সকালে এক কাপ ব্ল্যাক কফির সাথে এবং তারপরে সন্ধ্যায় আবার এক কাপ দুধ চা বা গ্রিন টি সহ আপনি খেজুর গ্রহণ করতে পারেন। ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েড, উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ খেজুর খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে, যদি আপনি সুস্থ থাকতে চান। চলুন জেনে নেওয়া যাক, খেজুর সম্পর্কে কিছু তথ্য।
মেডজুল প্রজাতির খেজুর -
খেজুরের এই জাতটি সুগার ফ্রি অর্থাৎ খুব মিষ্ট হয় না। সুতরাং, অমিষ্ট হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এই খেজুরটি খেলে শরীরের ক্লান্তি হ্রাস পায়, কারণ এটি আমাদের দেহে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ সহ শক্তি সরবরাহ করে। এটি প্রতিদিন খেলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন।
কলমি প্রজাতির খেজুর –
এই প্রজাতির খেজুরে রয়েছে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ, যা শরীরের উচ্চ অনাক্রম্যতা মাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়ক। কলমি প্রজাতির খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এ জাতীয় খেজুর খেলে পেটের রোগ হয় না। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিবর্ধক এই খেজুর, এছাড়া গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সিস্টেমকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে এবং ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য-র মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
অন্যান্য জাত -
অন্যান্য জাতের খেজুর হল খুদরী, অম্বর, জাহিদি, সফাভি, মবরুম এবং সুক্কারি। যে প্রজাতিরই খেজুর হোক না কেন, প্রত্যহ ৪-৬ টি করে গ্রহণ করলে তা আপনাকে পরিবর্তিত মরসুমে সর্দি, আর্থরাইটিস, হাড়ের ব্যথা, পেটের ব্যথা সহ অনেক মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, ব্রেন হেলথের গ্রোথে এবং সঠিক ওজন বজায় রাখতেও সহায়ক এই ফল।
অন্যান্য কিছু গুণাবলী-
হার্টকে সুস্থ রাখে (Benefits Of Dates) :
ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে "এল ডি এল" বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম হার্টের অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস করে।
অস্থি মজবুত হয় -
খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন অস্থিকে মজবুত করে তোলে। ফলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, এই ফলটিতে উপস্থিত সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আরও পড়ুন - জানুন চুলের সমস্যায় কারিপাতার ব্যবহার কিভাবে করবেন (Uses of curry leaves)