বয়স্ক লোকদের মাসল ও হাড় ক্ষয় রোধে এবং মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের ক্যান্সার রোধক হিসেবে এ ফল কাজ করে। অ্যাভোকাডো গ্রহণ বিশেষ করে গর্ভবর্তী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী। মানসিক চাপ, হতাশা দূরীকরণ, অনিদ্রা এবং আরও অনেক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম এই ফল।
পুষ্টিগুণ (Nutrition Value) -
অ্যাভোকাডো ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন কে , ভিটামিন সি , ভিটামিন বি৫ , ভিটামিন বি৬ , ভিটামিন ই , ফোলেট ও পটাশিয়াম। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর পুষ্টি মূল্য প্রচুর৷ এছাড়াও এতে রয়েছে ১৮ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড, ৩৪% স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই পুষ্টি সমৃদ্ধ হলেও এই ফল ততোধিক প্রচলিত নয়।
সকলের জন্য উপযোগী –
১) এই ফলে রয়েছে ফোলেট, যা শিশু এবং গর্ভবতী মহিলা উভয়ের জন্য খুবই উপকারী৷
২) চোখের জন্য অ্যাভোকাডো বিশেষ উপকারী৷ এই ফলটি প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় চোখের পক্ষে বিশেষ উপকারী৷ তাছাড়া এতে লুটেইন এবং জিয়াজ্যান্থিন উপস্থিত, যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অবশ্যই দরকার৷
৩) অ্যাভোকাডো ফলে কলার চেয়েও ৬০ ভাগ বেশি পটাসিয়াম রয়েছে। উচ্চ পটাশিয়াম রক্তচাপ হ্রাস করে যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কিডনি ফেলিওরের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৪) এটি শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।
৫) এটি বিশেষত শিশুদের জন্য একটি উৎকৃষ্ট মানের খাবার। শিশুদের পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে। যকৃৎকে সুরক্ষা দেয়। জন্ডিস প্রতিরোধে সহায়তা করে এই ফল।
৬) অ্যাভোক্যাডোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার হলো এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা ওজন হ্রাসে সহায়ক, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং সাথে আরো অনেক রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৭) সমিক্ষা অনুযায়ী দেখা গেছে, অ্যাভোক্যাডো প্রোস্টেট ক্যান্সার কোষগুলির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। ক্যান্সার চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে অ্যাভোক্যাডো যথেষ্ট উপকারী।
চাহিদাসম্পন্ন ও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এই ফল রয়েছে তো আপনার খাদ্য তালিকায়!