সবার রান্নাঘরেই আদা থাকে। শুধু মসলা হিসেবে নয়, আদায় আছে অনেক পুষ্টিগুণ। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আদার জুড়ি মেলা ভার। এক আদা সারাতে পারে ১২ ধরনের অসুখ। ঘরোয়া প্রতিষেধক হিসেবে আপনি বিভিন্ন রোগ সারাতে রান্নাঘরের এই উপাদানে ভরসা রাখতে পারেন। জেনে নিন আদার উপকারিতা,
১) আদা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এতে থাকা রাসায়নিক যৌগ শরীরের বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংস করে। বিশেষ করে ইকোলি ও শিকেলার মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকায় আদায় থাকা গুনাগুণ। এমনকি আরএসভি’র মতো ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে আদা।
২) আদার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে জিঞ্জারোল নামক যৌগ থাকে। যা মুখে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকায়। মুখের এই ব্যাকটেরিয়াগুলো পিরিয়ডন্টাল রোগের কারণ হতে পারে। যা একটি গুরুতর মাড়ির সংক্রমণ।
৩) হঠাৎ বমি বমি ভাব হলে মুখে এক টুকরো আদা নিলে স্বস্তি মেলে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় আদা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এমনকি কেমোথেরাপির কারণে শারীরিক অসুস্থতা বা বমি বমি ভাব ঠেকায় আদা।
৪) যে কোনো ব্যথা থেকে দ্রুত নিস্তার দিতে পারে আদায় থাকা পুষ্টিগুণ। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম করার ফলে যে পেশী ব্যথা হয় তা সারাতে আদা কাজ করে।
৫) আদা একটি প্রদাহবিরোধী উপাদান। এটি মুহূর্তেই ফোলা কমায়। বিশেষ করে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্টিওআর্থারাইটিসের লক্ষণগুলো সারাতে এটি দুর্দান্ত কার্যকরী।
আরও পড়ুন -Benefits of serpentina plant: জেনে নিন সর্পগন্ধা গাছের বিশেষ ঔষধি গুণাবলী
৬) বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, আদায় থাকা জৈব সক্রিয় অণু কয়েকটি ক্যান্সার যেমন- কোলোরেক্টাল, গ্যাস্ট্রিক, ডিম্বাশয়, লিভার, ত্বক, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের বৃদ্ধি ঠেকায়। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
৭) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আদা শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে আদা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় কি না সে বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
৮) পিরিয়ডের ব্যথায় প্রায় প্রতি মাসেই নারীরা কাতরায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যে নারীরা তাদের ঋতুচক্রের সময় দৈনিক ১,৫০০ মিলিগ্রাম আদার গুঁড়া গ্রহণ করেন তারা অন্যদের চেয়ে পিরিয়ড ক্র্যাম্পে কম ভোগেন।
৯)এলডিএল কোলেস্টেরল যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সাম্প্রতিক এক গবেষণার তথ্য অনুসারে, ৩ মাস ধরে দৈনিক ৫ গ্রাম আদা গ্রহণ করলে মানুষের এলডিএল কোলেস্টেরল গড়ে ৩০ পয়েন্ট কমে যায়।
১০) আদায় থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের ডিএনএ’র ক্ষতি প্রতিরোধ করে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ফুসফুসের মতো রোগের বিরুদ্ধেও লড়াই করে আদায় থাকা উপাদানসমূহ।
১১) বদহজমের সমস্যায় ছোট-বড় সবাই ভোগেন। দীর্ঘস্থায়ী বদহজমকে ডিসপেসিয়াও বলা হয়। আদা খেলে এ ধরনের বদহজমে দ্রুত স্বস্তি মেলে।
১২) আপনি বিভিন্ন উপায়ে আদা খেতে পারেন। আদা চা, আদার রস, খাবার বা সালাদে আদা মিশিয়ে এমনকি আদার গুঁড়া পানিতে মিশিয়েও পান করতে পারেন।
আরও পড়ুন -Covid Delta Variant Symptoms: কোভিড ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত কি না বুঝবেন কিভাবে? পড়ুন নিবন্ধটি