শীতের মরশুমে প্রত্যেক মানুষের অতি পরিচিত সবজী হল মুলো। শীতকালীন বাজারে নানা রঙের সবজীর পাশাপাশি সাদা মুলোতে বাজার ছেয়ে যায়। কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মুলো দেখলে নাক সিঁটকান, আবার অনেকে বলেন মুলো খেলে নাকি বায়ুর সমস্যায় ভোগেন। তবে শীতের মরশুমে মুলো হল এমন একটি সবজী যার উপকারিতা জানলে আপনিও অবাক হবেন।
একটি মুলোর মধ্যে থাকে ফোলেট, ফাইবার, রাইবোফ্ল্যাবেন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ক্যালশিয়াম। এগুলি ছাড়াও মুলোতে ৯৫%-ই জল। মাত্র ৩% কার্বোহাইড্রেট থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মুলোর স্বাস্থ্য উপকারিতা।
মুলোয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে যা শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়াও ফোলেট বা ভিটামিন বি-এর উপস্থিতি লোহিত রক্তকণিকা সংশ্লেষণে সাহায্য করে। মুলোয় থাকা ক্যালসিয়ামও কেবল হাড়ের শক্তিই বৃদ্ধি করে না, পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপও কমায়। এছাড়াও মুলোয় রয়েছে Glucosinolates নামক এক ধরনের সালফার-সমৃদ্ধ যৌগ। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। মুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা ডায়েটে অবশ্যই মুলো রাখা উচিত।
মুলো অ্যান্থোসায়ানিনের দারুণ উৎস। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ ফ্ল্যাভোনয়েড। যা আমাদের হৃদয়কে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। এবং যারা বদহজম, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যায় ভোগেন তাঁরা অবশ্যই খাদ্যতালিকায় মুলো যোগ করুন। মুলো ফাইবার সমৃদ্ধ সবজী। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। মুলোর এত গুনের কারনে আদর্শ সবজির আয়তাতেও ফেলা যেতে পারে। তবে মুলো মুড়ি দিয়েই হোক বা স্যালাডে। কাঁচা মুলো শুধু খাওয়ার মজাই আলাদা। সন্ধ্যায় বা সকালের জলখাবার হিসাবে খেতে পারেন। অনেকে মুলো পাতলা করে কেটে স্যান্ডউইচের মধ্যে দিয়ে খান।