প্রাচীনকাল থেকেই চিকিৎসাশাস্ত্রে জোয়ানের বিপুল ব্যবহার হয়ে আসছে।জোয়ানের স্বাদ বেশ ভালো এবং খাওয়ার পর বেশ ভালো মাউথ ফ্রেসনারের কাজ করে। শুধু এই জন্যেই নয়
আমাদের শরীরের অনেক রোগ যা পরবর্তী কালে বেশ যন্ত্রণা দায়ক হতে পারে তা কিন্তু জোয়ানের নিয়মিত সেবনে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারেনা।
আসুন জেনে নেই জোয়ান এর উপকারী দিকগুলি কি কি -
১.সময় মত না খাওয়া, অনেকটা সময়ের ব্যবধানে খাওয়া- এগুলো আমরা প্রায়সই করে থাকি। তারপর আমাদের পেট মুখ ভার করে বসে থাকে। এছাড়া গলা যন্ত্রণা, বুক যন্ত্রণা, সব মিলিয়ে জীবনটাই বিষিয়ে তোলে। এই সমস্ত থেকে বাঁচার বা এই ধরনের সমস্যা যাতে আপনাকে ব্যতিব্যস্ত না করে তার জন্য কিন্তু আপনাকে প্রতিদিন জোয়ান খেতেই হবে। আমাদের শরীরে যে এনজাইম গুলো খাবার হজম করাতে সাহায্য করে জোয়ান তাদের কাজ করার ক্ষমতা কে বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার হজম করাতে জোয়ান কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে।
অ্যাসিডের জ্বালাকে চিরতরে ঠান্ডা করার জন্য প্রতিদিন ১ চামচ জোয়ান, ১ চামচ লবন একগ্লাস উষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। এতে অ্যাসিডের সমস্যা দূর হবে।
২. অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা থাকলে তা পরবর্তী কারণে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।এছাড়া বুকে পিঠে ব্যথা,মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা ইত্যাদি তো আছেই। অনেক সময় এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে দেখা যায়। এত গম্ভীর সমস্যার সমাধান কিন্তু শুধুমাত্র জোয়ানের নিয়মিত সেবন। জোয়ান আমাদের শরীরে গ্যাস ফর্ম হতে দেয় না, এবং হলেও চটপট তার থেকে রেহাই দেয়। তাই কষ্ট পাবার থেকে গ্যাস হতে না দেওয়াই বুধিমানের কাজ।
দুপুরে ও রাতে খাওয়ার পর প্রতিদিন একটু করে জওয়ান খান। এছাড়া আধ লিটার জলে ৩-৪ চামচ জোয়ান দিয়ে সেই জল ফোটান। জল অর্ধেক হয়ে আসলে ছেঁকে উষ্ণ উষ্ণ খেয়ে ফেলুন খালি পেটে। দেখবেন গ্যাসের সমস্যা চিরতরে বিদায় নেবে।
৩.এই রোগ অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। ইমিউনিটি কম থাকার কারণে একটু ঠান্ডা লাগলেই বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গেলে পরিবেশ বা আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বা সিজিন চেঞ্জের সময় ঠান্ডা লেগে জ্বর, সর্দি-কাশি হতে দেখা যায়। আমাদের চারপাশে আমরা এমন অনেককেই দেখতে পাই যারা সারাবছর সর্দি কাশিতে ভোগেন। এটিও কিন্তু একধরনের রোগ। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে জোয়ান বেশ আরামদায়ক। প্রতিদিন ১ চামচ জোয়ান প্রতিদিন উষ্ণ গরম জলের সাথে চিবিয়ে খান। শুকনো করে ভেজে তা প্রতিদিন খান। এতে ঠান্ডা লাগা বা ঘন ঘন সর্দি কাশি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।