গাঁদাল বা গন্ধভাদালির(Rubiaceae) বৈজ্ঞানিক নাম Paederia foetida linn।এটি একটি লতানো গাছ। গাঁদাল পাতার গন্ধের জন্যে অধিকাংশ মানুষের একেবারে এটিকে পছন্দ করেন না। গ্রামাঞ্চলের বসতবাড়ির আশে পাশে এটি প্রায় দেখা যায়। এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন- সংস্কৃতিতে গাঁদাল, প্রসারণী, সরণী, ভদ্রপর্ণী, রাজবালা ইত্যাদি। এর গন্ধের জন্য গাঁদাল পাতার অপর নাম ‘পুতিগন্ধা’। বেস্বাদ এবং বাজে গন্ধের জন্য এই পাতা সকলে এড়িয়ে গেলেও এই পাতার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অপরিসীম।আসুন জেনে নেই আর উপকারিতা।
আসুন জেনে নেই আর উপকারিতা (Benrfits of Gandhal) -
১. বাতের ব্যথা কমে (Relief From Arthritis) -
বাতের ব্যথাতেও আরাম দেয় এই গাঁদাল পাতা। গাঁদাল পাতার সঙ্গে ক্যাস্টার অয়েল মিশিয়ে ব্যথা জায়গায় ভালো করে মালিশ করুন। শুধু তাই নয়, আমবাতের সমস্যাও দূর করে এই পাতা। যদি গাঁদাল পাতার রসের সঙ্গে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান।
২. অর্শ থেকে মুক্তি -
অনেকেই অর্শের সমস্যায় কষ্ট পান। ৩ গ্রাম কাঁচা হলুদের সঙ্গে ২ চামচ গাঁদাল পাতার রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। দু-একদিনের মধ্যেই অর্শের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। নিয়মিত এটি খেলে অর্শের সমস্যার সমাধান সম্ভব।
৩. আমাশা কমায় -
আমাশা হলে চোখ কান বুজে খেয়ে নিন গাঁদাল পাতা। প্রথমে বেটে নিন গাঁদাল পাতা। এরপর ২–৪ চামচ গাঁদাল পাতার রস হালকা গরম করে নিন। তারপর তাতে ৯–১০ ফোঁটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। আমাশার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
৪. মূত্রনালীর কষ্ট দূর করে -
মূত্রনালীর প্রদাহের সমস্যাও খুবই কষ্টদায়ক। সেক্ষেত্রে গাঁদাল পাতার রসে ৩ থেকে ৪ চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৫. ক্লান্তি মেটায় -
অনেক সময়ে বেশি পরিশ্রম হলে হাতে পায়ে যন্ত্রণা হয়। এই সমস্যারও সমাধান করতে পারে গাঁদাল পাতা। সেক্ষেত্রে গাঁদাল পাতা বেটে তা তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে সারা শরীরে মালিশ করতে হবে।
৬.অঙ্গ সচল করতে -
শরীরের কোনও অঙ্গ অবশ হয়ে গেলে গাঁদাল পাতার রস খেলে বা ওই স্থানে গাঁদাল পাতা মালিশ করলে আস্তে আস্তে সচল হয় অঙ্গ।
৭.মাথা ব্যথা কমে -
মাথা ধরা, শরীর ব্যথা, ইনফ্লুয়েঞ্জা সাদৃশ্য লক্ষণে এই পাতার রস খেলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
সতর্কতা-
উপরিউক্ত টোটকা ব্যবহার এর ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন - জানুন গাজরের পুষ্টিগুণ ও তার কিছু বিশেষ উপকারিতা (Nutritional Value Of Carrots)