Plant name: Mint/ Pudina
Botanical name: Mentha sp
Family: Lamiaceae (previously Labiatae)
প্রাচীন কাল থেকেই পুদিনা পাতা ভেজষ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে এই পাতা বহু রোগ সারানোর কাজে লাগে। তরকারিতে সুগন্ধি হিসাবে একে ব্যবহার করা হয়। গরম কালে পুদিনা পাতার সরবত খাওয়ারও প্রচলন আছে। পুদিনা এক প্রকারের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। কান্ড ও পাতা বেশ নরম। কান্ড বেগুনি রঙের। এই গাছের পাতা ডিম্বাকার, রোমশ, কিনারা খাঁজকাটা ও মিন্টের তীব্র গন্ধযুক্ত হয়।
খুব সহজেই "মা" গাছ থেকে নতুন চারা তৈরি করা যায়। বাজার থেকে কিনতে গেলে একটা চারা কমপক্ষে ৬০-৭০ টাকা দাম নেবে। তাই খুব সহজেই বাড়িতে, বাজার থেকে কিনে আনা পুদিনার মোটা কান্ডটিকে জলে রেখে বা আশেপাশের কোথাও কোন মা গাছ থেকে কান্ড সংগ্ৰহ করে রুটিং করিয়ে নিয়ে চারা তৈরী করা যায়। নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, পুদিনার চারা উল্লম্ব ভাবে (vertical) না বসিয়ে আড়াআড়ি (horizontal) বসালে তার বৃদ্ধি দ্রুত হয়।
এর অজস্র গুনের মধ্যে কিছু লেখার চেষ্টা করলাম-
হাঁপানি-
পুদিনায় রোজমেরিক অ্যাসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি পাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে হাঁপানি হয় না। এ ছাড়াও এর রস প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তার ফলে শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকে।
পেটের ব্যাথায়-
এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এ ছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে।
ক্যানসার প্রতিরোধক -
পুদিনায় রয়েছে মনোটারপিন নামক উপাদান। এটি স্তন, লিভার, অগ্ন্যাশয়ে ক্যানসার হওয়া প্রতিরোধ করে। নিয়মিত পুদিনা পাতা খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যানসার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও এর কতগুলি উপকারিতা হল -
১। পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তা হলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।
২। পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
৩। কোনও ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরলে ওই ব্যক্তি জ্ঞান ফিরে পায়।
৪। পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় মাখলে চুলের উকুন চলে যায়।
৫। শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।
৬। মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।
৭। যাঁদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তাঁরা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোলমরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।
৮। কাশি হলে পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে নিতে পারেন। গরম জলে সামান্য পরিমাণ পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে পান করুন। এটি এক্সপেক্টোরেন্টের কাজ করবে।
তাহলে আর দেরী কীসের??? খুব সহজেই বাড়িতে তৈরী করে নিন পুদিনার চারা।
শুভ্রজ্যোতি চ্যাটার্জ্জী (গবেষক, সবজী বিজ্ঞান বিভাগ, উদ্যান পালন অনুষদ, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মোহনপুর, নদীয়া)
Image source - Google
Related Link - (Subsidy on agriculture machinery) কৃষি যন্ত্র ক্রয় করতে চান সরকারি ভর্তুকিতে? এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
নারকেলের (Benefits of Coconut) দুধ থেকে তেল, বহু জটিল রোগ থেকে রক্ষা করে আমাদের