দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যাও। সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরও রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। না হলে আবার সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সবার আগে জেনে নিতে হবে করোনা থেকে মুক্তি নিশ্চিতের মানদণ্ডগুলো কী। করোনা কাটিয়ে উঠলে শরীর খুবই দুর্বল থাকে | তাইম এইসময় খাওয়া-দাওয়া, শরীরের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হয় | দেখে নিন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কি কি রাখবেন?
প্রাতঃরাশ(Breakfast):
দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার এটি । ঘুম ভাঙার ২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাতঃরাশ সেরে নেওয়া উচিত। এইসময় খাবারে নিতে পারেন,
১) মুগ ডালের চাট, তার সঙ্গে দুটো ডিমসিদ্ধ।
২) ১ বাটি ওটস ও সঙ্গে ১ গ্লাস দুধ |
২) ২ টো ধোসা |
সকালের হাল্কা খাবার:
প্রাতঃরাশ আর মধ্যাহ্নভোজের মাঝে হাল্কা কিছু খেতেই হবে। সবেচেয়ে ভাল হয়, যদি ফল খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম ফল এই সময়ে খেলে ভাল। কোন কোন ফল খেতে পারেন,
আপেল, পেয়ারা, পাকা পেঁপে, তরমুজ, বেরি ইত্যাদি |
আরও পড়ুন - Health benefits of Triphala: ত্রিফলার আশ্চর্য গুনে ভালো থাকবেন আপনিও
মধ্যাহ্নভোজ(Lunch):
দুপুরে ১:৩০ থেকে ২:৩০- র মধ্যে সেরে ফেলতে হবে মধ্যাহ্নভোজ। এই সময়ে খেতে পারেন,
এক থালা স্যালাড , ১ বাটি ডাল বা মুরগির মাংস, এক বাটি দই বা রায়তা এবং এর সঙ্গে একটা বা দুটো ছোট রুটি |
বিকেলের খাবার(Snacks):
এই সময়ে অনেকেই চা খান। কিন্তু চায়ের সঙ্গে কী খাবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকে। কী কী খেতে পারেন, দেখে নিন,
১) চিনি এবং দুধ ছাড়া চা
২) চা না খেলে মুরগির মাংসের স্টু খেতে পারেন
৩) মাল্টিগ্রেন বিস্কুট
নৈশভোজ(Dinner):
৭:৩০ থেকে ৮:৩০-এর মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে ফেলা উচিত। খুব বেশি ক্যালোরি যুক্ত খাবার এই সময়ে খাওয়া যাবে না। এইসময় খাবার তালিকায় রাখতে পারেন,
১) আনাজপাতি বা পনির বা মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল।
২) এর সঙ্গে খেতে পারেন মুগ ডালের তৈরি খিচুড়ি। তবে অল্প পরিমাণে।
৩) জোয়ার বা বাজরার একটা বা দুটো রুটিও চলতে পারে।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে:
ঘুমাতে যাওয়ার অনেকেরই খিদে পেয়ে যায়। তখন পাতলা দুধ খেতে পারেন। কিন্তু তার বেশি কিছু খাওয়া যাবেনা | এইসব ছাড়াও, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ বা ভিটামিনসমূহ পরিমানমতো প্রয়োজনমতো খেতে পারেন |
আরও পড়ুন - Monsoon Veg and Fruits: বর্ষায় রোগ-প্রতিরোধ বাড়াতে খান এই কয়েকটি সবজি ও ফল