কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ আজকাল আপনি নিশ্চয়ই মন্ডিতে শুধু পেয়ারা দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই অনেকের কাছ থেকে শুনেছেন যে পেয়ারা খেলে ঠাণ্ডা এবং ফ্লুর মতো সমস্যা হতে পারে। তবে আমরা আপনাকে বলি যে এরকম কিছুই নেই। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়। আমরা নিজেরাই এটা বলছি না , তবে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার ( USDA) এর একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৮.৯২ গ্রাম চিনি , ১৮ গ্রাম খনিজ পদার্থ , ২২ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম এবং ৬৮ ক্যালরি রয়েছে। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এর সাথে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও পটাশিয়াম পাওয়া যায়। এই পর্বে আজ আমরা পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি।
পেয়ারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে
যদি দেখা যায়, অন্যান্য ফলের তুলনায় পেয়ারায় ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। পেয়ারার মাত্র একটি ফলের মধ্যে ১২ শতাংশ পর্যন্ত ফাইবার পাওয়া যায় এবং এতে উপস্থিত ছোট ছোট বীজ হজম প্রক্রিয়াকে ভালো রাখে , যার ফলে পাকস্থলীর বিপাকীয় হারও বাড়তে থাকে। অর্থাৎ পেয়ারা সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তাদের খালি পেটে লবণ দিয়ে পেয়ারা খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুনঃ বাদাম খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন, সকালে খালি পেটে খেলে অসাধারণ উপকার পাবেন
পেয়ারা খেলে সুগারের সমস্যা চলে যায়
পেয়ারা সুগারের রোগীদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে , কারণ এতে রয়েছে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং ফাইবার , যা সুগার লেভেল ঠিক রাখতে অনেক সাহায্য করে। চিনির রোগীদের কাঁচা পেয়ারা বেশি করে বীজের সাথে লবণ দিয়ে খেতে হবে।এটি সুগার স্পাইক প্রতিরোধ করে।
পেয়ারা হৃদরোগে কার্যকর
পেয়ারা খেলে হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা কমে যায়। পেয়ারায় পটাশিয়াম ও সোডিয়াম পাওয়া যায় , যার কারণে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর পাশাপাশি পেয়ারা খেলে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে। এই সব জিনিসই মানুষের হার্টকে সুস্থ রাখে।
আরও পড়ুনঃ বাজরা থেকে মশলাদার কুড়কুড়ে তৈরি করুন এই ভাবে, আপনার বাচ্চারা বাইরের জিনিসের স্বাদ ভুলে যাবে
স্থূলতা কমাবে পেয়ারা খেলে
যারা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন তাদের পেয়ারা খাওয়া উচিত। পেয়ারা যেহেতু ফাইবার সমৃদ্ধ , যা ওজন কমাতে এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। পেটের মেদ কমাতেও সহায়ক।
সর্দি-কাশি দূর করবে পেয়ারা
শীতের মৌসুমে সর্দি-কাশির সমস্যা খুব সাধারণ হয়ে যায়। রান্না করা পেয়ারা খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি পেয়ারায় ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেক বেশি , যার কারণে ঠাণ্ডা দূর করা যায়। এছাড়া এটি শ্বাসযন্ত্রকে পরিষ্কার করে।