গরমে পরতে আরাম এরকম পোশাকের মধ্যে আছে সুতি কাপড়ের তৈরি ফতুয়া, কামিজ, শার্ট, টি-শার্ট। আর এখন জিন্সের সাথে ফতুয়া যেকোন তরুণ-তরুণীর প্রিয় পোশাক। পাশাপাশি টপস ও কুর্তিতো রয়েছেই।
বর্তমানে ফ্যাশনে বাংলার ঐতিহ্যবাহী ধারার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন আঙ্গিক। দেশজ ও আন্তর্জাতিক ধারা মিশে একইসঙ্গে পরিবেশিত হচ্ছে বিভিন্ন বুটিক হাউস ও বুটিকধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে। ফ্যাশনের এ পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ইদানিং দেখা যায় মেয়েরা পাঞ্জাবি স্টাইলের কামিজ ধাঁচের লম্বা ফতুয়া পরে। একে বলা হয় কুর্তি।
ছেলেদের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে গত কয়েক বছর ধরে ফতুয়া এবং টি-শার্টের মতো পোশাকগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। মেয়েরা ইদানিং টপস, ফতুয়ার পাশাপাশি কুর্তির প্রতিও বেশ আকৃষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কীভাবে ছাগলের দুধ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে
কুর্তি হচ্ছে ফতুয়ার আধুনিক রূপ। এটি ভারতিয় একটি ডিজাইন। এককথায় বলা যায়- কুর্তি দেখতে পাঞ্জাবির মতো কিন্তু লম্বায় কোমরের একটু নিচে এবং এতে কোন পকেটের ব্যবহার থাকে না। এসব পোশাক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি হয় বলে গরমে এই পোশাক খুব ভাল।
একসময় দেশে ফতুয়া পরতেন বয়স্ক লোকেরা । তখন ফতুয়ার ধরন আজকের মতো ছিল না। প্রবীণরা হাফ হাতার সুতি ফতুয়া ব্যবহার করতেন। সে সময় ফতুয়া ছিল সাবেকি ধাঁচের সাদামাটা এক পোশাক, গোল গলা, নিচে পকেট। সেই ফতুয়াই এখন তৈরি হচ্ছে হাল ফ্যাশনের উপযোগী করে।
এই পোশাকটি পরিবর্তিত হয়ে রূপ নিয়েছে টপস এবং কুর্তিতে। আজকাল গরম থেকে মুক্তি পেতে প্রায় সবাই ফতুয়া পোশাক পরি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মাঝে দারুণ হুজুগ তৈরি হয়েছে। ঘরে-বাইরে সব জায়গায় তরুণদের প্রথম পছন্দের পোশাক ফতুয়া, টপস।
বছরের সব সময়েই এসব পোশাক পরা হচ্ছে। তবে সারা বছর চাহিদা থাকলেও গরমে আরামদায়ক পোশাক হিসেবে এ পোশাকগুলোর জুড়ি নেই। নামীদামি ফ্যাশন হাউস থেকে শুরু করে গলির মোড়ের নতুন বুটিকেও রাখা হয় ফতুয়া কিংবা টপসের চমৎকার সব সংগ্রহ। এক সময়ের প্রবীণদের পোশাক ফতুয়া এখন তারুণ্যের প্রতীক।
আরও পড়ুনঃ 'স্মার্ট ব্রা' শনাক্ত করবে স্তন ক্যানসার, প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হবে রোগ
এছাড়া বিশেষ বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করেও তৈরি হচ্ছে ফতুয়া। যা দিবসগুলোকে আরও অর্থবহ করে তোলে।