বর্ষার আর্দ্রতা সাধারণভাবেই পেঁয়াজের রোগপোকার প্রাদুর্ভাব বাড়াতে পারে। সেই জন্য রোয়া করার পরে যে সমস্ত রোগ ও পোকা বর্ষার পেঁয়াজকে আক্রমণ করতে পারে সেগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও প্রতিকার ব্যবস্থা এবার আলোচনায় থাকলো।
রোগ –
(১) পাতার বেগুনী দাগ ও ধ্বসা - বর্ষার আর্দ্রতায় ছত্রাক আক্রমণে পাতায় ও কলিতে ডিম্বাকার দাগ বড় হয়ে গাছ শুকিয়ে যায়। এই রোগ খরিফ পেঁয়াজের প্রভূত ক্ষতি করতে পারে।
প্রতিকার ও নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা –পরিচ্ছন্ন চাষের সঙ্গে শোধন করে ভালো বীজ লাগাতে হবে। জমিতে জৈব সারের সঙ্গে ট্রাইকোডারমা মেশাতে হবে। ছত্রাকের আক্রমণ হলে ক্লোরোথ্যালোনিল ২ গ্রাম বা ডাইফেনকোনাজোল ১/২ গ্রাম বা প্রোপিকোনাজোল ১ মিলি বা অ্যাজক্সিস্ট্রবিন ১.৫ মিলি প্রতি লিটার জলে আঠা দিয়ে স্প্রে করুন।
(২) স্টেমফাইলাম ধ্বসা –পাতায়, কলিতে হালকা কমলা / হলুদ দাগ ও পরে কলি শুকিয়ে পুরো গাছ নষ্ট হয়।
প্রতিকার ও নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা –পরিচ্ছন্ন চাষের সঙ্গে শোধন করে ভালো বীজ লাগাতে হবে। জমিতে জৈব সারের সঙ্গে ট্রাইকোডারমা মেশাতে হবে। ছত্রাকের আক্রমণ হলে ক্লোরোথ্যালোনিল ২ গ্রাম বা ডাইফেনকোনাজোল ১/২ গ্রাম বা প্রোপিকোনাজোল ১ মিলি বা অ্যাজক্সিস্ট্রবিন ১.৫ মিলি প্রতি লিটার জলে আঠা দিয়ে স্প্রে করুন।
পোকা –
(১) থ্রিপস বা চোষী পোকা – চারা বড় হতে শুরু করলে পেঁয়াজ পাতা রসস্থ হলে থ্রিপসের পূর্ণাঙ্গ ও অপূর্ণাঙ্গ দশা রস চুষে খায় ফলে পাতা শুকাতে করে। ধীরে ধীরে গাছ বসে গিয়ে ফলন নষ্ট হয়।
প্রতিকার ও নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা – পরিচ্ছন্ন চাষের সঙ্গে রোয়ার আগে শিকড় ধুয়ে ইমিডাক্লোপ্রিড ১ মিলি/ ৩ লি. জলের দ্রবণে শোধন ও চাপানে ফিপ্রোনিল দানা বিষ দিতে হবে। প্রথম চাপান দেবার আগে বিঘা-প্রতি ২৫-৩০ টি হলুদ আঠালো ফাঁদ বাঁশের লাঠির ও পাটের দড়ি দিয়ে লাগিয়ে দিন। আক্রমণ চোখে পড়লেই থায়ামিথোক্সাম ১ গ্রাম/৫ লি. জলে বা স্পাইরোমেসিফেন ১/২ মিলি/ লি. জলে স্টিকার সহযোগে স্প্রে করুন।