এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 13 August, 2021 2:07 PM IST
Bitter gourd tree (image credit- Google)

করলা আমাদের দেশের অতি পরিচিত একটি গ্রীষ্মকালীন সবজি। এখন সারা বছরই করলা চাষ হয়। করলা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী সবজি। এটাকে ভাজি করে অথবা তরকারি হিসেবে রান্না করেও খাওয়া যায়। এই নিবন্ধে কীভাবে ছাদে বা টবে (Terrace farming) করলা চাষ করবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

মাটি তৈরি(Soil):

করলা প্রায় সব মাটিতেই চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থসমৃদ্ধ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে চাষ করলে ফলন ভালো হয়। করলা চাষ করার জন্য প্রথমে দুই ভাগ দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ২০-৩০ গ্রাম টিএসপি সার, ২০-৩০ গ্রাম পটাশ একত্রে মিশিয়ে ড্রামে ভরে জলে ভিজিয়ে সপ্তাহখানেক রেখে দিতে হয়। তারপর মাটি কিছুটা ওলটপালট করে বা ঝরঝরে করে আবার চার-পাঁচ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে।

বীজ বপন:

করলার বীজ বপনের একদিন অথবা ২৪ ঘণ্টা আগে ড্রাম বা টবের মাটি জল দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ বপন করার পর মাটি হাত দিয়ে সমতল করে চেপে দিতে হবে।

সেচ:

করলার বীজ বপন করার পর এতে নিয়মিত জল দিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, টবে বা গাছের গোড়ায় যেন কোনোভাবেই জল জমে না থাকে। তাহলে গাছের গোড়া পচে যাবে। সঠিক পরিমাপে জল  দিতে হবে।

আরও পড়ুন - Mixed Fish farming: জেনে নিন পুকুরে একইসাথে মলা ও তেলাপিয়া মাছের চাষ পদ্ধতি

পরিচর্যা:

করলা গাছ বড় হলে অপ্রয়োজনীয় বা মরা লতাপাতা বেছে ফেলে দিতে হবে। টব বা ড্রামের মাটি হালকা নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে, তাহলে শেকড় বাড়বে। আগাছা জন্মালে তা উপড়ে ফেলতে হবে। গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখলে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের উৎপাত কম হয়। গাছ একটু বড় হলে মাচা করে দিতে হবে। গাছে নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।

সার প্রয়োগ(Fertilizer):

সঠিক পরিমাণ সার দিতে হবে। করলার বীজ থেকে চারা বেরোনোর পর মাঝে মধ্যে পানি দিতে হবে। চারার যত্ন নিতে হবে। করলা ধরা শুরু করলে সরিষার খৈল পচা পানি পাতলা করে গাছে ১৫-২০ দিন অন্তর অন্তর নিয়মিত দিতে হবে। টবে জৈব সার দিতে হবে, যেন গাছ মাটি থেকে খাদ্য উৎপাদন করে বাড়তে পারে। প্রয়োজনে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী রাসায়নিক সার ব্যবহার করা যায়।

রোগবালাই দমন(Disease management):

করলা গাছে মাছিপোকা, পামকিন বিটলসহ বিভিন্ন পোকা ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগ, পাউডারি মিলডিউসহ বিভিন্ন বালাইয়ের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। গাছে রোগ বা পোকামাকড় আক্রমণ করলে কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক স্প্রে করতে হবে। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচতে সেক্স ফেরোমন বিষটোপ ফাঁদের যৌথ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ফল সংগ্রহ:

 

করলা ছোট অবস্থায়ও সংগ্রহ করতে পারেন অথবা বড় হলেও সংগ্রহ করতে পারেন। তবে করলা কাঁচা থাকতেই সংগ্রহ করতে হবে। পাকা করলা তরকারি হিসেবে খাওয়া যায় না। ফল পরিপক্ব হওয়ার আগেই সংগ্রহ করতে হবে।

আরও পড়ুন - Flower Farming: ফুল চাষে এই বিষয়গুলি না মানলে, লাভের বদলে হবে ক্ষতি

English Summary: Bitter Gourd Farming: Easily cultivate bitter gourd on the roof, take a look at the method
Published on: 13 August 2021, 02:07 IST