'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 28 July, 2021 2:50 PM IST
Brinjal disease (image credit- Google)

বেগুন এক অন্যতম জনপ্রিয় সবজি | রাজ্য তথা দেশে এই সবজির চাহিদা ব্যাপক | বেগুন চাষ করে কৃষকরা আর্থিক দিক থেকে লাভবানও হয়ে থাকেন |  কিন্তু অনেকেরই আবার ক্ষেতে রোগ- পোকার সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষত বর্ষায় (Monsoon) বেগুনের রোগ-পোকার সমস্যায় কৃষকরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় |

মাটি(Soil):

হালকা বেলে থেকে ভারী এটেল মাটি অর্থাৎ প্রায় সব ধরনের মাটিতেই বেগুনের চাষ করা হয়। এটেঁল দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ মাটি বেগুন চাষের জন্য উপযোগী এবং এই মাটিতে বেগুনের ফলন বেশী হয়।

চাষের সময়(Time):

খরিপ মৌসুম অর্থাৎ বর্ষাকালীন বেগুনের জন্য জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। এই সময় চাষের জন্য বারমাসী জাতসমূহ লাগানো যেতে পারে |

আরও পড়ুন -শেড নেট পদ্ধতিতে পান চাষে বিঘা প্রতি ব্যাপক আয়ের সুযোগ

জমি তৈরী ও চারা রোপন(Plantation):

জমি তৈরির জন্য ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। ৩৫-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপণের উপযোগী হয়। এ সময় চারাতে ৫-৬টি পাতা গজায় এবং চারা প্রায় ১৫ সেমি. লম্বা হয়। চারা তোলার সময় যাতে শিকড় নষ্ট না হয় সেজন্য চারা তোলার ১-২ ঘন্টা আগে বীজতলায় জল দিয়ে মাটি ভিজিয়ে নিতে হবে। সাধারণতঃ বড় আকারের বেগুনের জাতের ক্ষেত্রে ৯০ সেমি. দূরে সারি করে সারিতে ৬০ সেমি. ব্যবধানে চারা লাগানো যেতে পারে এবং ক্ষুদ্রাকার জাতের ক্ষেত্রে ৭৫ সেমি. সারি করে সারিতে ৫০ সেমি. ব্যবধানে চারা লাগানো যেতে পারে। জমিতে লাগানোর পর পরই যাতে চারা শুকিয়ে না যায় সে জন্য সম্ভব হলে বিকালের দিকে চারা লাগানো উচিত।

সার প্রয়োগ(Fertilizer):

 মূল জমিতে ৪০ কুইন্টাল জৈব সার বা ২৫ কুইন্টাল কেঁচো সার, ১৫ কেজি নিম কোটেড ইউরিয়া, ৭৫ কেজি সি.সু.ফসফেট, ১০ কেজি মিউরেট অফ পটাশ মিশিয়ে বেড তৈরি করতে হবে।

রোগবালাই ও প্রতিকার(Disease management system):

বর্ষায় বেগুনে ছত্রাকঘটিত রোগ, ফল ও গোড়া পচা রোগ, ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। এ সম্পর্কে চাষিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি দপ্তর। অনেক সময় নিমাটোডের আক্রমণের কারণে বর্ষায় বেগুনের গোড়া ফুলে যায়। এই রোগের প্রকোপে বেগুনের গোড়া পচে গিয়ে গাছ মরে যায়। পরে পাতা হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে, ফুল-ফলও আশানুরূপ হয় না। এছাড়া এই সময়ে বেগুনে ফল, পাতা ও কাণ্ড ছিদ্রকারী এক ধরনের পোকারও উপদ্রব হয়।

এই রোগ ও পোকা দমনের জন্য জলের মধ্যে কার্বেনডাজিম ও ম্যানকোজেবের মিশ্রণ গুলিয়ে বেগুন গাছে স্প্রে করতে হবে। কীটের আক্রমণে অনেক সময় উদ্ভিদটি মাটি থেকে জল ও সার শোষণ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে, ফলে গাছে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। এর প্রতিকারের জন্য এক লিটার জলে দেড় মিলিমিটার কার্বোসালফান গুলিয়ে বেগুন গাছে স্প্রে করলে দ্রুত ভালো ফল পাওয়া যায়।

ফসল সংগ্রহ:

সাধারণত, ফুল ফোটার পর ফল পেতে গড়ে প্রায় ১ মাস সময় লাগে। জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ১৭-৬৪ টন ফলন পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন -Composting Cow Dung: কিভাবে গোবর থেকে জৈব সার বানাবেন? শিখে নিন পদ্ধতি

English Summary: Brinjal Farming: Brinjal cultivation methods and remedies for diseases in the rainy season
Published on: 28 July 2021, 02:50 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)