অ্যাভোকাডো আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় ফল। ‘অ্যাভোকাডো’ ফলটি উৎপাদনের দিক থেকে সর্বপ্রথম স্থানে আছে মেক্সিকো। এরপর এই ফলটি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে আমেরিকা। ভারতে অ্যাভোকাডো প্রচুর পরিমাণে চাষ না হলেও কোথাও কোথাও এর চাষ পরিলক্ষিত হয়।
ভারতে বাণিজ্যিক ফসল রূপে অ্যাভোকাডো ফল কে গণ্য করা হয় না, তাই সবর্ত্র এর চাষ করা হয় না। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে শ্রীলঙ্কায় এর চাষ শুরু হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে তামিলনাড়ু, কেরালা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, দক্ষিন-মধ্য ভারতে এবং সিকিম রাজ্যে অবস্থিত পূর্ব হিমালয়ে এর চাষ শুরু হয়।
অ্যাভোকাডো (Avocado) সালাডে ব্যবহৃত হয় এবং ফল হিসেবেও এটি খাওয়া হয়। এটি একটি সমৃদ্ধ ফল, প্রায় সাতশোরও বেশী এর প্রজাতি রয়েছে। এগুলির মধ্যে বেগুনি রঙের অ্যাভোকাডোগুলি স্বাদে, বর্ণে এবং আকৃতিতে ভিন্ন। সাধারণ প্রজাতির অ্যাভোকাডো ফলগুলির আভ্যন্তরীণ বর্ণ হলুদ বা হলুদাভ সবুজ হয়। প্রাথমিক অবস্থায় ফলটির আভ্যন্তরীণ অংশ দৃঢ় হলেও পক্ক অবস্থায় এটি নরম হয় এবং তখন এটির থেকে মাখন উৎপাদনের জন্য এটি তৈরি হয়ে যায়।
অ্যাভোকাডো ফল চাষ অন্যান্য ফসল চাষের মতোই সহজ। এটি চাষের জন্য বীজ থকে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়। ফল থেকে বীজ নেওয়া হলে তা দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বপন করা উচিৎ। অতিরিক্ত যত্ন নিলে এটির অঙ্কুরোদগমের ক্ষমতা হ্রাস পায়।
অঙ্কুরোদগমের জন্য সময় -
অঙ্কুরোদগমের জন্য সময় লাগে ৫০ – ১০০ দিন। জুলাই মাসে বীজ সংগ্রহ করে ফার্টিলাইজার প্রয়োগ করে পলিথিন ব্যাগে তা রাখা হয়। উদ্ভিদটির মূল থেকেও চারাগাছ তৈরি করা যায়।
রোপন -
-
ডালটি প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার হলে চারা পুনরায় স্থানান্তর করুন। দ্রুত বিকাশ-এর জন্য আপনি ডালটি ১০ সেন্টিমিটার থেকে ছোট করে কেটে ফেলতে পারেন।
-
অ্যাভোকাডোস সূর্যের আলোতে ভালভাবে বিকাশ লাভ করে, তাই পাত্রটিকে আপনার জানালার কাছে রাখুন।
-
হলুদ পাতা বেশী জল দেওয়ার লক্ষণ, তাই জল পর্যাপ্ত দেবেন।
-
ফলটির পক্বতার সময়কাল নির্ভর করে জলবায়ুর উপর।
উষ্ণ আবহাওয়ায় সময় লাগে ৬ মাস, এবং আবহাওয়া শীতল হলে সময় লাগে ১২ – ১৮ মাস। বীজ থেকে এই উদ্ভিদটির চারা তৈরি করলে তা ফল দেবার জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে ৫ – ৬ বছরে। তবে কলম থেকে এর চারা তৈরি করলে ৩ – ৪ বছরের মধ্যেই এটি ফল দেবার জন্য উপযোগী হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন - উপযুক্ত পরিচর্যার মাধ্যমে কাঁঠালের চাষ (Jackfruit Cultivation)