সম্প্রতি কৃষ্ণ বর্ণের গম দেখা যাচ্ছে অনেক কৃষকের জমিতে। উত্তর প্রদেশের বদায়ুন জেলায় কৃষকরা প্রথমবারের মতো কালো গমের চাষ করেছেন। এই জাতটি ৭ বছর কঠোর পরিশ্রমের পরে তৈরি করা হয়েছে। বেশিরভাগ কৃষক রবি মরসুমে গম চাষ করেন। এর আবাদে অনেক উন্নত জাত বপন করা হয়। বিজ্ঞানীদের দ্বারা উদ্ভাবিত কৃষ্ণ বর্ণের গমের চাষ কেবল কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করবে না, মানুষকে মারাত্মক রোগ থেকেও বাঁচাবে।
সংবাদ মাধ্যম অনুসারে, কৃষক নরেশ কুমার শর্মা বদায়ুন জেলার তহশিল বিসৌলির মোহাম্মদপুর গ্রামে কৃষ্ণ বর্ণের গম চাষ করেছেন। এই গমের চাষ করে তিনি অর্ধ বিঘা ক্ষেত থেকে ২ কুইন্টাল ফসল পেয়েছেন।
নতুন বর্ণের গম -
কালো গম পিষে ময়দার রঙ কালো ও সাদা হওয়ায় এই আটার রটি গোলাপি বর্ণের হয়। কৃষক নরেশ কুমার শর্মা প্রথম কালো গমের চাষ করেন। তিনি মধ্য প্রদেশের খারগোন থেকে কালো গমের বীজ নিয়ে ফসল প্রস্তুত করেছিলেন।
কালো গম গবেষণা -
ন্যাশনাল এগ্রি ফুড বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউট নবী মোহালি পাঞ্জাব, এই প্রজাতির গমের গবেষণা করেছে। কৃষিবিদ ডঃ মনিকা গর্গ ২০১০ সাল থেকে গবেষণা শুরু করেছিলেন। এর পরে, কালো গম প্রস্তুত করা হয়েছে, তাই এই গমের নামও রাখা হয়েছে নবী এমজি। এখন অনেক কৃষক কালো গমের চাষ শুরু করেছেন।
কালো গম অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাবে
বিজ্ঞানীদের মতে, সাধারণ গমের চেয়ে কালো গম বেশি পুষ্টিকর। এই গম মানুষকে অনেক মারাত্মক রোগ যেমন, ক্যান্সার, সুগার, কোলেস্টরল, হৃদরোগ, স্ট্রেস রক্ষা করতে পারে।
কৃষকদের জন্য উপকারী -
কৃষক যদি কালো গম চাষ করেন, তবে এটি তার পক্ষে খুব উপকারী হবে। একদিকে কৃষক ভাল দামে গম বিক্রি করতে পারবেন, অন্যদিকে তা স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো। এই কৃষ্ণ বর্ণের গম কমপক্ষে প্রতি কুইন্টাল ৩,৫০০ টাকায় বাজারে বিক্রি হয়। তবে এই মুহুর্তে তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে না, কারণ প্রথমে এটি গবেষণা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে। কিন্তু কৃষকরা একে অপরের কাছ থেকে গম নিতে পারেন। কারণ সূত্র অনুযায়ী, গবেষণা কেন্দ্র শীঘ্রই বাজারে কালো গম সংস্থাগুলি চালু করতে চলেছে। এর পরে এটি বাজারে বিক্রি শুরু হবে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)