Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 26 August, 2021 2:08 PM IST
Custard apple tree (image credit- Google)

আতা খুবই জনপ্রিয় একটি সুস্বাদু ফল | আতা এক ধরণের মিষ্টি যৌগিক ফল | প্রধানত, পর্তুগিজ ভাষায় একে "আতা ফল" বলা হয় | শরিফা, মেওয়া নাম পরিচিত এই গাছের উচ্চতা প্রায় ১০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে | এই ফল ফেব্রুয়ারী র্মাচ মাসে সংগ্রহ করা হয়। এই নিবন্ধে আতা ফলের চাষাবাদ (Custard apple cultivation) পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হলো;

মাটি(Soil):

এই ফল চাষের জন্য আপনাকে উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে, যে জমিতে সহজেই জল উপরে উঠে যায়না | অল্প ছায়াযুক্ত স্থানেও আতা চাষ করা যায় | এই চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি হলো দোআঁশ মাটি | শুষ্ক ও গরম পরিবেশে এই ফলন ভালো হয় |

রোপণ(Plantation):

বীজ থেকে চারা তৈরী হলেও, বর্তমানে কলমের মাধ্যমে চারা তৈরী হয়ে থাকে | সবসময় নীরোগ ও পুষ্ট বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে হয় | বীজ থেকে চারা উৎপাদন হতে ২-৩ মাস সময় লাগে | তাই বীজ জলে ভিজিয়ে বপণ করলে তাড়াতাড়ি অঙ্কুরিত হয় | জুন-জুলাই চারা রোপণের জন্য সঠিক সময় |

জমি তৈরী:

নির্বাচিত জমির আগাছা পরিষ্কার করে ভালো করে চাষ করে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে | চারা গাছ থেকে গাছের ও সারি থেকে সারির দুরত্ব হতে হবে ৪ মিটার | গর্তের মাপ হতে হবে ৬০*৬০*৬০ সে.মি | গর্তপ্রতি ২৫০ গ্রাম এমপি সার, ২০ কেজি পচা গোবর সার মিশিয়ে গর্ত ভরিয়ে ১৫-২০ দিন রেখে দিতে হবে |

আরও পড়ুন - White Gourd Farming: জেনে নিন বাড়ির ছাদে চালকুমড়ার সহজ চাষ পদ্ধতি

এহেন অবস্থায়, গর্তের মাঝে খাড়াভাবে চারা রোপণ করতে হবে | সার দেওয়ার পর প্রয়োজনে সেচ ব্যবস্থা চালু করতে হবে | প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী, মে ও অক্টোবর মাসে একটি ফলন্ত গাছে ১৫০-১৭৫ গ্রাম এমপি সার, ১৫০-১৭৫ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০-১৭৫ গ্রাম টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে |

সার প্রয়োগ(Fertilizer):

১ থেকে ২ বছর বয়সী গাছে  প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী ও অক্টোবর মাসে ২ কিস্তিতে মোট ১৫ থেকে ২০ কেজি গোবর, ২০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২০০গ্রাম টিএসপি, ২০০ গ্রাম এমপি সার প্রয়োগ করতে হবে। সার দেওয়ার পরপর সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। এবং শুষ্ক মৌসুমে মাটি শুকিয়ে গেলে সেচ দিতে হবে। একটি ফলন্ত গাছে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি, মে, এবং অক্টোবর মাসে ১৫০ থেকে ১৭৫  গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ থেকে ১৭৫ গ্রাম টিএসপি, ১৫০ থেকে ১৭৫ গ্রাম এমপি সার প্রয়োগ করতে হবে।

রোগ ও প্রতিকার(Disease management system):

আতা ফল গাছে পোকামাকড়ের আক্রমন তেমন দেখা না গেলেও মিলিবাগ নামের এক ধরনের পোকা ফলের উপর আক্রমন করে। বাজারে ব্যবহৃত কীটনাশক ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় | মাঝে মাঝে হাত দিয়ে ফল পরিষ্কার করে রক্ষা পাওয়া যায় |

আতা ফলে এনথ্কাস রোগ দেখা দে | এই রোগ হলে ফল পুরোটা কালো হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এনথ্কাস আক্রান্ত ফল গাছ থেকে পাড়তে হবে এবং গাছের যে সকল ডাল মরে গেছে সে সকল ডাল কেটে ফেলেতে হবে ।

ফল সংগ্রহ:

সাধারণত, ফুল ফোটার ৩-৪ মাসের মধ্যে ফল পুষ্ট হয় | ফল পুষ্ট হলে হালকা সবুজ থেকে হলুদ ভাব হয়ে থাকে। সংগ্রহ করা পরিপক্ক ফল গুলো ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে পাকতে শুরু করে। ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী গাছে ১৫০ থেকে ২৫০ টি পযর্ন্ত ফল ধরে। এক একটি ফলের ওজন ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। এই ফল বাজারে বিক্রি করে কৃষকরা দ্বিগুন অর্থ উপার্জন করতে পারেন |

আরও পড়ুন - Breeding process of Koi Fish: জেনে নিন কৈ মাছের কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি

English Summary: Custard Apple Farming: Cultivate custard apple in this way and become profitable
Published on: 26 August 2021, 01:56 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)