কাজু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল, শুধু ভারতের বাজারে নয়, সারা বিশ্বের বাজারে এর চাহিদা অপরিসীম। পশ্চিমবঙ্গের লাল ও কাঁকুর মাটি অঞ্চলে কাজু চাষের বিরাট সম্ভাবনা আছে। পশ্চিম বাংলার লাল কাঁকুরে মাটি অঞ্চলে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস অবধি বৃষ্টি হয়, যদিও সব জায়গায সমান নয়। এই লাল ও কাঁকুরে মাটি অঞ্চলেই দেখা যায় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝ অবধি প্রচন্ড বৃষ্টি হয়, অথচ তার আগে ও পরে বৃষ্টির পরিমাণ খুব কম, প্রায় হয় না বললেই চলে। এমনকি কখনো কখনো বর্ষাকালের মধ্যেই ১০-১৫ দিন ধরে খরা চলতে থাকে। আবার এখানকার মাটির জল ধারন ক্ষমতা এত কম যে বৃষ্টি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যই মাটি শুকনো দেখায়।
অতএব এইসব জায়গায় কাজু বাগান করাত হলে কিছু বিষয়ের উপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে বাইরের থেকে জল সেচের ব্যবস্থা না করেও কাজু গাছ গুলির জলের চাহিদা পূরণ করা যায়।
আরও পড়ুনঃ আমের ফলন হবে দ্বিগুন, আম গাছে মুকুল আসার পর সঠিক পরিচর্যার উপায় দেখে নিন
গাছ লাগানোর সময় ও পদ্ধতি
কাজু সাধারণত বৃষ্টিনির্ভর ভাবেই চাষ করা হয়। তার ফলে কাজু বাগান করতে হলে, বর্ষার শুরুতেই গাছ লাগানো উচিত।
আরও পড়ুনঃ হলুদ চাষের সময় কৃষকদের এই বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত, ফলন হবে বাম্পার
সাধারনত বেসরকারি নার্শারি অথবা সরকারী গবেষণা কেন্দ্র থেকে পলিথিন প্যাকেটে চারা পাওয়া যায়। চারা গর্তে বসাবার পূর্বে পলিথিন প্যাকেটটি সাবধানে খুলে দিতে হয়, যাতে শিকড়ের গায়ের মাটি আলগা না হয়।
সার প্রয়োগ
১০ কেজি গোবরসার ১০ কেজি পাতা পচা সার ২৫০ গ্রাম নিম খোল ২০০ গ্রাম সিঙ্গল সুপার ফসফেট দিতে হবে।
প্রতিটি গর্তে ১ ঝুড়ি কাদা মাটি ও আগাছার সঙ্গে ২০ শতাংশ হারে গোবর জল মিশিয়ে গাছ লাগানোর ১ মাস আগে গর্তগুলি ভরে দিলে ভালো হয়। এই ভাবে ১ মাস আগে গর্তগুলি জৈব পদার্থ ও নিমখোল ও সামান্য পরিমান ফসফেট সার দিয়ে ভরে দিলে পরবর্তী কালে কাজু গাছ বসানোর সঙ্গে সঙ্গে উপযুক্ত পরিবেশে কাজু গাছের শিকড়ের বৃদ্ধি ভালো হয় ও চারা অবস্থায় গাছের খাবার ও জলের অভাব হয় না। শুধু তাই নয় গাছের শিকড় সহজে মাটির মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। গর্তের মধ্যবর্তী স্থানে কলমের চারাটি বসাতে হয়। জোড় কলমের সংযোগ স্থলটি মাটি থেকে ৫ সেমি. উপরে রাখতে হয়ে।