১ থেকে ৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে 'মিলিয়নেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া' অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন জেনে নিন গরু ও মহিষের জন্য সস্তায় খাবার প্রস্তুত করুন, বিস্তারিত জেনে নিন স্বল্প পরিসরে মাছ চাষ করুন, রইল সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
Updated on: 1 June, 2020 12:49 PM IST

কুমড়ো, আমাদের পছন্দের বিভিন্ন সবজির মধ্যে অন্যতম৷ যা সারাবছরই পাওয়া যায়৷ এই ফল জাতীয় সবজির উৎপত্তিস্থল মধ্য আমেরিকা৷ তবে সারা বিশ্বেই নানা জাতের কুমড়োর চাষ (Pumpkin Farming) হয়৷ এর বৈজ্ঞানিক নাম Cucurbita moschata. মিষ্টি কুমড়ো দেখতে সাধারণত হলুদ, বা সবুজ-হলুদ বর্ণের হয়৷ এর ভিতরের অংশ উজ্জ্বল কমলা বর্ণের হয়, এবং অনেক বীজ থাকে ভিতরে৷ এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হলেও, মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে স্ন্যাক্স তৈরি করা যেতে পারে, আবার মিষ্টিও তৈরি করা হয়৷ হ্যালোউইনে এই কুমড়োর প্রচুর চাহিদা (Usage of Pumpkin) থাকে ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে৷ আবার বাদ্যযন্ত্রও তৈরি করা হয় এই কুমড়ো দিয়েই৷

এটি একপ্রকারের লতানো গাছ, এর ফল গোলাকার, ডিম্বাকার, বিভিন্ন আকৃতির হয়৷ এর ফুলও খাওয়া হয়৷ কুমড়ো খেতে অনেকেই পছন্দ করেন এবং এটি অর্থকরীও৷ আর এই সবজির চাষ কিন্তু বাড়ির ছাদেই সম্ভব৷ কম সংখ্যক কুমড়োর প্রয়োজন হলে নিজেই চাষ করে ফেলতে পারেন৷ তবে কীভাবে তা চাষ করবেন তা জানার আগে একটু জেনে নেওয়া যাক, কেন এটি চাষ করব, অর্থাৎ আমাদের শরীরের জন্য (Health Benefits of Pumpkin) এটি কতটা প্রয়োজনীয়৷

কুমড়ো শরীরে রোগ প্রতিরোধ (Immune System) ক্ষমতা বৃদ্ধি করে৷ সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে৷ এছাড়া হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ প্রতিরোধেও সাহায্য করে৷ পাশাপাশি কুমড়ো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহয়তা করে এবং সেই সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়৷ এক কথায় আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে কুমড়োর ভূমিকা অনস্বীকার্য৷

এবার দেখে নেওয়া যাক এর চাষ পদ্ধতি (Home Farming)৷ পলিব্যাগে কুমড়োর চারা প্রথমে তৈরি করে নিতে হবে৷ মিষ্টি কুমড়োর বীজ প্রথমে ১২ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে৷ অন্যদিকে ৬:৪ অনুপাতে দোআঁশ মাটির সঙ্গে গোবর-ছাই মিশিয়ে নিয়ে বীজতলা তৈরি করে নিতে হবে৷ এবার চার থেকে পাঁচটি কুমড়ো বীজ এতে বপন করে ওপর থেকে পাতাল সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং রোজ একটু একটু করে জল দিতে হবে৷ কয়েক দিন পরেই এর থেকে চারা বেরিয়ে আসবে৷ যা দু সপ্তাহ পর টবে রোপনের জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে৷ যে চারাগুলি অপেক্ষাকৃত শক্তপোক্ত সেগুলি তুলি টবে রোপন করতে হবে৷

বড় সাইজের টব বা অর্ধেক ড্রামে ১ থেকে ২টি চারা রোপন করুন৷ এটি লতানো গাছ তাই চারাকে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য খুঁটি প্রয়োজন৷ মাচা করতে পারলে ফলন আরও ভালো হবে৷ টবের মাটিও উপরোক্ত অনুপাতে তৈরি করে নিতে হবে৷ এতে ৫০ গ্রাম ইউরিয়া সারা দেওয়া যেতে পারে৷ কয়েকদিন এভাবে রেখে মাঝেমাঝেই মাটি খুঁচিয়ে তা নরম করে দিতে হবে৷ তারপর চারাটি বসাতে হবে৷ টবের নিচে অবশ্যই ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়৷ আলো-বাতাস-জল এই তিনটি জিনিস যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছটি পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷ সেই সঙ্গে গাছের গোড়ার চারপাশ থেকে আগাছাগুলি সাবধানে পরিষ্কার করে দিতে হবে নিয়মিত৷ কুমড়ো গাছে বাড়িতে তৈরি জৈব সার দিতে পারেন৷ যেমন, তরকারির খোসা, পাখির বিষ্ঠা, কাঠ কয়লা ছাই প্রভৃতি৷

কুমড়োর চারা রোপনের তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়৷ কুমড়োতে হলদে ভাব এলে তা সংগ্রহ করা যেতে পারে৷

মনে রাখতে হবে, কুমড়ো গাছে কিন্তু মাছি পোকার উপদ্রব দেখা যায়৷ এই পোকা দেখা মাত্রই মেরে ফেলতে হবে অথবা পোকামাকড় ধরার ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে৷ অথবা নিম তেল, সাবান গোলা জল স্প্রে করা যেতে পারে৷ 

বর্ষা চ্যাটার্জি

English Summary: Easy steps to farming pumpkin at terrace garden
Published on: 01 June 2020, 12:49 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)