এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 26 September, 2020 7:56 PM IST
Brinjal Cultivation

বেগুন আমাদের দেশ জুড়ে সাধারণ ও জনপ্রিয় উদ্ভিজ্জ ফসল। ভারতে প্রায় ১৩ টি বিভিন্ন জাতের বেগুনের চাষ হয়। বেগুন চাষ ও উত্পাদন পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে হয়ে থাকে। এর চাষ করে কৃষক লক্ষাধিক উপার্জন করতে পারেন। বীজ বপনের প্রায় ১৭৫ দিন পর পর বেগুনের ফসল পাওয়া যায়। মোট বেগুন উত্পাদনের প্রায় ৮.৪% পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দ্বারা সম্পন্ন হয়। বেগুন চাষে রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষকের লাভ সম্পর্কে রইল বিশদ ব্যাখ্যা।

বেগুন চাষের গড় ব্যয়:

পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর বেগুন ফসলের ফলন প্রায় ৮ থেকে ২০ টন হয়ে থাকে, এটি কৃষকের বিভিন্ন ধরণের হাইব্রিড বীজের উপর নির্ভর করে। বীজ নির্বাচন বিভিন্ন মাটির প্রকার, অঞ্চল এবং বিভিন্ন জলবায়ুর অবস্থার উপর নির্ভর করে। তদনুসারে একজন কৃষক বেগুনের ফসলের উচ্চ ফলনের জন্য উপযুক্ত জাত নির্বাচন করেন। বেগুন চাষের গড় ব্যয়ের পরিমাণ ৩২,৫০০ টাকা।

বেগুনের রোগ -

বর্ষায় বেগুনে ছত্রাকঘটিত রোগ, ফল ও গোড়া পচা রোগ, ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। এ সম্পর্কে চাষিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি দপ্তর। অনেক সময় নিমাটোডের আক্রমণের কারণে বর্ষায় বেগুনের গোড়া ফুলে যায়। গাছের গোড়া ও ফল পচা রোগের কারণে চাষীরা তো প্রায় প্রতি বছর লোকসানের মুখে পড়েন। তাই এবার কৃষি দপ্তর এই রোগ সম্পর্কে চাষীদের আগাম সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, এই রোগের প্রকোপে বেগুনের গোড়া পচে গিয়ে গাছ মরে যায়। পরে পাতা হলদে হয়ে ঝরে পড়ে, ফুল-ফলও আশানুরূপ হয় না।

Brinjal Farming

এছাড়া এই সময়ে বেগুনে ফল, পাতা ও কাণ্ড ছিদ্রকারী এক ধরনের পোকারও উপদ্রব হয়। এই রোগ ও পোকা দমনের জন্য জলের মধ্যে কার্বেনডাজিম ও ম্যানকোজেবের মিশ্রণ গুলিয়ে বেগুন গাছে স্প্রে করতে হবে। কীটের আক্রমণে অনেক সময় উদ্ভিদটি মাটি থেকে জল ও সার শোষণ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে, ফলে গাছে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। এর প্রতিকারের জন্য এক লিটার জলে দেড় মিলিমিটার কার্বোসালফান গুলিয়ে বেগুন গাছে স্প্রে করলে দ্রুত ভালো ফল পাওয়া যায়।

পশ্চিমবঙ্গে ১ একর জমিতে বেগুন চাষে লাভ:

পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত অঞ্চলে প্রতি কুইন্টালের বেগুনের বাজার বিক্রয় মূল্য উপলব্ধতার উপর নির্ভর করে। একজন কৃষক খামার থেকে ফসল ৪ বার সংগ্রহে ১ একর জমি থেকে ১০,০০০ কেজি ফলন পেতে পারেন। গত বছরে দেখা মোট বিক্রয়মূল্য ছিল ২,০০,০০০ টাকা, আর ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৩২,৫০০ টাকা অর্থাৎ মুনাফার পরিমাণ প্রায় ১,৬৭,৫০০ টাকা।

উপসংহার: সুতরাং, পশ্চিমবঙ্গে একজন কৃষক বেগুন চাষ করে প্রতি একরে ১.৬ থেকে ১.৮ লক্ষ টাকা লাভ করতে পারবেন। গত বছরের শংসাপত্র অনুসারে, বড় বাজারের সহজলভ্যতা এবং রাজ্য কৃষকদের দ্বারা অর্জিত লাভ উভয়ের কারণে পশ্চিমবঙ্গকে বেগুন চাষে ১ নং হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল।

English Summary: Farmers are earning million in Brinjal cultivation
Published on: 26 September 2020, 07:56 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)