গরমকালে এসি-র চাহিদা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি আমের চাহিদাও প্রচুর থাকে। আমের ভালো উৎপাদনের জন্য কৃষকদের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এই সময়ে আম গাছে পোকার আক্রমন দেখা দিতে শুরু পারে। গাছের সঠিক পরিচর্যা না করলে ডাহিয়া ও মধুয়া পোকা দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।বিহার কৃষি বিভাগ একটি পরামর্শ জারি করেছে যাতে গাছগুলি সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া যায়।
আম গাছকে বাঁচাতে সময়ে সময়ে গাছে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। আসুন জেনে নিই কখন আম গাছে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
আম গাছে তিনবার স্প্রে করা উচিত
আমের অধিক ফলনের জন্য কৃষকদের আম গাছে তিনটি স্প্রে করতে হবে। কৃষকদের ক্ষেতের আকার অনুযায়ী এসব কীটনাশক স্প্রে করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ আমের ফলন হবে দ্বিগুন, আম গাছে মুকুল আসার পর সঠিক পরিচর্যার উপায় দেখে নিন
প্রথম স্প্রে করার সময়
আমগাছে মুকুল আসার আগেই কৃষকদের প্রথম স্প্রে করা উচিত। এটি একটি কীটনাশক দিয়ে শুরু করা উচিত। এমনভাবে স্প্রে করুন যাতে কীটনাশক গাছের বাকলের ফাটলে পৌঁছাতে পারে যাতে এটি পোকামাকড়ের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুনঃ এ রাজ্যে পেঁপে চাষে কৃষক পাচ্ছেন ৪৫ হাজার টাকা, আবেদন করুন এখানে
দ্বিতীয় স্প্রে করার সময়
যখন অঙ্কুরগুলি একটি সরিষার দানার সমান হয়ে যায়, তখন দ্বিতীয় স্প্রে করতে হবে। এর জন্য কীটনাশকের সাথে একটি ছত্রাকনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন। এতে করে মঞ্জর পাউডারি মিলডিউ এবং অ্যানথ্রাকনোজ রোগে ভোগে না। কৃষকরা এই দ্রবণে আলফা ন্যাফথাইল অ্যাসিটিক অ্যাসিডও যোগ করতে পারেন, যাতে রোগের কারণে ফল ঝরে না যায় এবং ভাল বিকাশ হয়।
তৃতীয় স্প্রে করার সময়
আমের বীজ একটি মটরের সমান হয়ে গেলে তৃতীয় স্প্রে করতে হবে। আলফা ন্যাফথাইল অ্যাসিটিক অ্যাসিডের সাথে কীটনাশক মেশান। এবার প্রস্তুতকৃত কীটনাশক ছত্রাকনাশকের সাথে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এতে পোকামাকড়ের আক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।