Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 13 June, 2021 11:53 AM IST
Millet Crop (Image Credit - Google)

ভারতে উৎপাদিত দানা শস্যের মধ্যে রাগী অন্যতম। দেশের বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে এটি একটি প্রধান খাদ্যশস্য। খাদ্যশস্য ও গবাদী পশুর খাবার হিসেবেও এটি চাষ করা হয়। রাগীর দানায় ৯.২% প্রোটিন, ১.২৯% স্নেহপদার্থ, ৭৬.৩২% শর্করা, ২.২৪% খনিজ পদার্থ, ৩.৯% ছাই ও ০.৩৩% ক্যালসিয়াম থাকে।

এছাড়াও এই দানায় ভিটামিন এ, বি ও অল্প মাত্রায় ফসফরাস ও থাকে। পাহাড়ী অঞ্চলে রাগী দানা দিয়ে চাপাটি ও হালুয়া তৈরী করা হয়। দক্ষিন ভারতে এটি কেক, মিষ্টি প্রভৃতি তৈরিতে ব্যাবহৃত হয়। অঙ্কুরিত রাগী দানা শিশুদের খাদ্য হিসাবে খুবই উপযোগী। উত্তরের পাহাড়ী অঞ্চলের কিছু জেলায় ও পশ্চিমের পুরুলিয়া জেলায় অল্প বিস্তর রাগীর চাষ (Ragi cultivation)হয়।  রাগী চাষে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবানও হতে পারেন | এই নিবন্ধে চাষের বিস্তারিত পদ্ধতি আলোচনা হলো;

জলবায়ু (Climate):

ক্রান্তীয় ও উপ-ক্রান্তীয় জলবায়ু রাগী চাষের জন্য উপযোগী। রাগীর বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য ৮-১০ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেড তাপমাত্রা, বৃদ্ধি ও উৎপাদনের জন্য গড় ২৬-২৯ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেড তাপমাত্রা ও বার্ষিক গড় ৫০০-৯০০ মিমি বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হয়। জলনিকাশীর ব্যবস্থা থাকলে ভারী বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে চারা রোপণ করে চাষ করা যায়।

মাটি (Soil):

রাগী উর্বর-অনুর্বর সব জমিতে চাষ করা যায়। তবে ভাল নিকাশী ব্যবস্থা যুক্ত দোআঁশ বা কাদা দোআঁশ মাটি রাগী চাষের পক্ষে উপযোগী। হালকা লবনাক্ত মাটিতেও রাগী চাষ করা যেতে পারে।

চাষের সময়:

খরিপ মৌসুমে দেশের যেখানে ৯০ শতাংশের বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে সেখানে এটি জন্মায় |

জমি তৈরী:

লাঙ্গলের সাহায্যে গভীর চাষ দিয়ে, ২-৩ বার মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে এবং সমতল করে নিতে হবে।জমি থেকে আগাছা ও পূর্ববর্তী ফসলের অবশিষ্টাংশ তুলে ফেলা জরুরী। বীজগুলি খুব ছোট হয় এবং অঙ্কুরিত হতে 5 -7 দিন সময় নেয়। সুতরাং ভাল বীজ, ভালোভাবে জমি প্রস্তুতি, আগাছা সমস্যা হ্রাস এবং কার্যকর মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণ ভালো ভাবে অঙ্কুরোদগমের সহায়তা করে |

রোপণ:

লাইন বপন উপকারী - আন্তঃ চাষ এবং কার্যকরভাবে আগাছা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। প্রতি হেক্টরে ৪-৫ লক্ষ গাছের সর্বোত্তম গাছের সংখ্যা বজায় রাখা জরুরী। জমি তৈরির পরে সার প্রয়োগ করতে হবে | রোপণ দূরত্ব রাখতে হবে ব্যবধান - প্রারম্ভিক জাত - ২০*১০  সেমি, মাঝারি সময়কালীন জাতগুলি ২২.৫*১০ সেমি।

সার প্রয়োগ (Fertilizer):

মাটি পরীক্ষার পরামর্শ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করা ভাল। ৪০:২০:২০ স্বল্পকালীন জাতগুলির জন্য বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতিতে আবাদ করা NPK কেজি / হেক্টর; ৬০:৩০:৩০ স্বল্প ও মাঝারি সময়কালের জাতের জন্য সেচ পরিস্থিতিতে অধিক পরিমাণে এনপিকে কেজি / হেক্টর। নাইট্রোজেনকে ২ ভাগে ভাগ করে ৫০% এবং বাকি ৫০% শীর্ষ পোষাক হিসাবে প্রথম এবং আগাছা জন্মানোর আগে জমিতে সার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োগ করা উচিত।

আগাছা দমন (Weed management):

চাষের জমি সবসময় আগাছা মুক্ত রাখতে হবে | রোপনের ১৫ ২০ দিন পর থেকে শুরু করতে হবে | 

আরও পড়ুন - Organic fertilizer - গোবর ও গোমূত্র থেকে চাষের জন্য জৈব সার কীভাবে তৈরি করবেন?

ফসল সংগ্রহ:

শস্যটি প্রায় ১২০ - ১৩৫ দিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়। ২০২৫ কুইন্টাল প্রতি হেক্টর শস্য পাওয়া যায় | ৬০-৮০ কুইন্টাল প্রতি হেক্টর পশুখাদ্য হিসাবে পাওয়া যায় |

নিবন্ধ: রায়না ঘোষ

আরও পড়ুন - Tuberose Cultivation: রজনীগন্ধা চাষের খরচ কমাতে ও ফলন বৃদ্ধিতে পলিথিন ব্যবহার করুন

English Summary: Finger Millet (Ragi) Farming: Learn the complete method of cultivating ragi grains
Published on: 13 June 2021, 11:49 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)