জম্মু ও কাশ্মীর সরকার রাজ্যের আপেল চাষীদের জন্য বাজার হস্তক্ষেপ প্রকল্প বা এমআইএসের আওতায় আপেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
আপেল সংগ্রহের নোডাল এজেন্সি ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন (NAFED) এ, বি এবং সি গ্রেডের আপেলের জন্য যথাক্রমে ৫৪, ৩৮ এবং ১৫.৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের উদ্যান বিপণন ও পরিকল্পনা বিভাগ (J&KDHMP) কাশ্মীরের ৪ টি সংগ্রহ কেন্দ্রে আপেল গ্রেডিংয়ের জন্য নাফেডকে সহায়তা করে।
রাজ্য সরকার ১২ ই আগস্ট উপত্যকায় লকডাউন ও যোগাযোগ অবরোধ বিবেচনা করে এই প্রকল্পটি ঘোষণা করেছিল। এখনও অবধি, ৩,০০০ এরও বেশি কৃষক নাফেড এবং জেঅ্যান্ডকেডিএইচএমপি -তে নিবন্ধন করেছেন।
সরকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে আরও কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য সরকার আপেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
একজন প্রবীণ সরকারী কর্মকর্তা বলেছিলেন, "আমরা আপেলের মূল্য বৃদ্ধির সুপারিশ করছি, যার থেকে আশা করি আরও বেশি কৃষককে এগিয়ে আসতে রাজি করাবো"। তিনি আরও বলেন যে, তিনি আত্মবিশ্বাসী সি গ্রেডের আপেলের মূল্য সংশোধন হয়ে শেষে ২০ টাকার কাছাকাছি আসবে এবং "এটি আরও বেশি কৃষকদের তাদের পণ্য নিয়ে এগিয়ে আসতে প্রলুব্ধ করবে"।
এটি অবশ্যই লক্ষণীয় যে কাশ্মীরে ৩.৮৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে আপেল চাষ হয় এবং এর থেকে বার্ষিক ৮,০০০ কোটি টাকা আসে, যা সেখানে ৭ লক্ষ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও দেশে উৎপাদিত আপেলের পরিমাণের ৭৫% অবদান রয়েছে কাশ্মীরের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কাশ্মীরে কোল্ড স্টোরেজ এবং প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা হলে এই টার্নওভার আরও অনেক বর্ধিত হতে পারে। বিগত কয়েক বছরে, কাশ্মীরে ধানের চাষীরাও আপেল চাষ করছেন, কারণ আপেল চাষে ফলন অনেক বেশি হয় এবং শ্রমও নিবিড় হয়।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)