'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 19 August, 2021 11:37 AM IST
Guava tree (image credit- Google)

পেয়ারা একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধি গুণসম্পন্ন ফল এবং এতে প্রচুর ভিটামিন-সি আছে। ফল হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি পেয়ারা দিয়ে জেলি, জ্যাম ও জুস তৈরি করা হয়ে থাকে। পেয়ারা একটি জনপ্রিয় ফল হওয়ায় বাজারে প্রায় সারা বছর এই ফলের চাহিদা থাকে | তাই এই ফল চাষ করে কৃষকরা লাভবানও হয়ে থাকেন |

মাটি ও জলবায়ু(Soil and climate):

বেলে দো-আঁশ মাটি পেয়ারা চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো। জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি থেকে আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি (জুন-সেপ্টেম্বর) সময়ে পেয়ারার চারা রোপণ করার জন্য উপযুক্ত সময়।

জমি তৈরি:

উর্বর বেলে দো-আঁশ মাটি পেয়ারা চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো। উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি এজন্য নির্বাচন করতে হবে। চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল ও আগাছামুক্ত করে নিতে হবে।

চারা রোপণ পদ্ধতি:

সমতল ভূমিতে বর্গাকার ও ষড়ভূজি এবং পাহাড়ি ভূমিতে কন্টুর পদ্ধতিতে পেয়ারা চাষ করা যায়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩ মিটার রাখতে হবে। চারা থেকে চারা ৪ মিটার দূরত্বে রোপণ করতে হবে।  গর্তের আকার ৫০ সে.মি. চওড়া ও ৫০ সে.মি. দীর্ঘ রাখতে হবে। চারা রোপণের পর খুঁটি ও বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন - Agriculture pest management: ক্ষতিকর কীটনাশক নয়, জেনে নিন শাক-সবজির পোকা দূর করার সহজ উপায়

সার প্রয়োগ(Fertilizer):

কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে পেয়ারা গাছে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশেপাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদির স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব।

সেচ:

মাটিতে প্রয়োজনীয় রসের অভাব দেখা দিলে বা খরার সময় ২-৩ বার জল সেচ দিতে হবে। অন্যদিকে অতিবৃষ্টি বা জলাবদ্ধতা দেখা দিলে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

রোগবালাই(Disease management system):

১. পেয়ারা গাছের পাতা, কান্ড, শাখা-প্রশাখা ও ফল এ্যানথ্রাকনোজ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। প্রথমে পেয়ারা গাছে ছোট ছোট বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। দাগগুলো ধীরে ধীরে বড় হয়ে পেয়ারা গাছে ক্ষত সৃষ্টি করে।

আক্রান্ত ফল পরিপক্ক হলে অনেক সময় ফেটে যায়। তাছাড়া এ রোগে আক্রান্ত ফলের শাঁস শক্ত হয়ে যায়। গাছের পরিত্যক্ত শাখা-প্রশাখা, ফল এবং পাতায় এ রোগের জীবাণু বেঁচে থাকে। বাতাস ও বৃষ্টির মাধ্যমে পেয়ারার এ্যানথ্রাকনোজ রোগ ছড়ায়।

২. ডাইবেক রোগে গাছের কচি ডাল আগা থেকে শুকিয়ে মরে যেতে থাকে।

৩. সাদা মাছি পোকা পাতার নিচের দিকে আক্রমণ করে রস চুষে খায়। এর ফলে পাতায় সুটিমোল্ড ছত্রাক জন্মে এবং পাতা ঝরে যায়।

৪. স্ত্রী মাছি পোকা ফলের খোসার ওপর ডিম পাড়ে। এর ডিম ফুটে কীড়া বের হয়ে ফল ছিদ্র করে ভিতরে প্রবেশ করে এবং ফল খেয়ে নষ্ট করে ফেলে।

প্রতিকার:

এ সব রোগ দমনের জন্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পোকা দমন না হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে।

পরিচর্যা:

১. ডাল ছাঁটাই : পেয়ারা সংগ্রহের পর ভাঙা, রোগাক্রান্ত ও মরা শাখা-প্রশাখা ছাঁটাই করে ফেলতে হবে। তাতে গাছে আবার নতুন নতুন কুঁড়ি জন্মাবে। 

২. ফল পাতলাকরণ : কাজী পেয়ারা ও বারি পেয়ারা-২ জাতের গাছ প্রতিবছর প্রচুর সংখ্যক ফল দিয়ে থাকে। ফল পাতলা না করলে গাছ ভেঙ্গে যায়। তাই মার্বেল আকৃতি হলেই কমপক্ষে ৫০ ভাগ ফল ছাঁটাই করতে হবে। এতে ফলের আকার আকর্ষণীয় হয়।

ফল সংগ্রহ:

সবুজ থেকে হলুদে-সবুজ রঙ ধারণ করলে ফল সংগ্রহ করতে হবে।প্রতিটি গাছ থেকে বছরে গড়ে প্রায় ১০০০ থেকে ২০০০টি পেয়ারা পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন - Pineapple Farming: কিভাবে করবেন আনারস চাষ? জেনে নিন পদ্ধতি

English Summary: Guava Farming: Learn the easy way to cultivate guava
Published on: 19 August 2021, 11:37 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)