গরম ভাতে লাল শাক ভাজা, এই স্বাদের যেন কোনও তুলনা হয় না৷ যেমন খেতে তেমনই গুণে সমৃদ্ধ লাল শাক৷ আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই শাক৷ বাড়িতেই কিন্তু এই শাক চাষ করা সম্ভব৷ সেই পদ্ধতিতেই চোখ রাখব তবে তার আগে একনজরে দেখে নেব এই শাক আমাদের শরীরের জন্য কেন প্রয়োজনীয়-
এটি ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করতে, দাঁত ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে৷ এতে বিদ্যমান ভিটামিন-এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে খুবই প্রয়োজনীয়৷ এটি যেমন কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ায়, তেমনই ক্যান্সারকে দূরে রাখতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়৷ লাল শাকের ফাইবার হজমশক্তি বৃদ্ধি করে৷ রক্তাল্পতার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই শাক খুব প্রয়োজনীয়৷ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে এটি৷ এছাড়া চুলের স্বাস্থ্যও ভালো করার পিছনে লাল শাকের ভূমিকা রয়েছে৷
লালচে গোলাপি রঙের এই শাক শুধু শীত নয়, বর্তমানে এই শাক সারা বছরই পাওয়া যায়৷ এবং এর চাষও সারা বছর হয়ে থাকে৷ লাল শাক চাষের জন্য মাঝারি সাইজের টব নিয়ে নিতে হবে৷ আলো বাতাস পাবে এমন স্থানে সেটি রাখতে হবে৷
দোআঁশ বা বেলে-দোআঁশ মাটিতে লাল শাকের চাষ ভালো হয়৷ এক ভাগ মাটির সঙ্গে এক ভাগ জৈব সার মিশিয়ে মাটি প্রথমে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে৷ অনেকে আবার ছাদে বেড তৈরি করে নেয়, এই বেডে লাল শাক আরও ভালো ভাবে চাষ করা যায়৷
টবে বীজ বপনের পর একটু একটু করে প্রয়োজন মতো জল প্রয়োগ করতে হবে৷ দেখতে হবে জল যেন দাঁড়িয়ে না যায়, তাহলে গোড়া পচে যেতে পারে৷ টবের নিচে একটা ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে৷ বীজ ঘন ঘন বপন করা যেতে পারে৷ প্রায় মাস খানেক পর লাল শাক তুলে খাওয়ার মতো হয়ে যায়৷ এই শাক তুলে ফের চাষ করে বছরে বহুবার ফসল পাওয়া যেতে পারে৷
লাল শাকের গোড়া পচে যাওয়া রোধ করতে ছাই ব্যবহার করা যেতে পারে৷ এছাড়া রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে নিম তেল স্প্রে করা যেতে পারে৷ লক্ষ্য রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন কোনওভাবেই আগাছা না জন্মায়৷
বর্ষা চ্যাটার্জি