এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 16 August, 2021 2:29 PM IST
Pumpkin crop (Image Credit - Google)

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির উপর নির্ভর করে। মিষ্টি কুমড়া হচ্ছে এক ধরণের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। এর পাতা ও কান্ড সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। মিষ্টি কুমড়া চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয় করাও সম্ভব। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত উৎপাদন বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সহায়তা দিয়ে থাকে। মিষ্টি কুমড়া বিদেশে রপ্তানি করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

জমি তৈরি - 

১. ভালো ফলন পেতে হলে জমি গভীরভাবে চাষ করতে হবে।

২. মাটি ও জমির প্রকারভেদে ৫-৬টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করে নিতে হবে।

৩. শীতকালীন চাষের সময় জমিতে রসের পরিমাণ কম থাকলে প্রয়োজনে জমি চাষের আগে সেচ দিয়ে নিতে হবে।

বীজ বপন ও চারা রোপণ - 

১. মিষ্টি কুমড়ার বীজ সরাসরি জমিতে রোপণ করা যায়। তবে ছোট আকারের পলিথিন ব্যাগে চারা উৎপাদন করে তা জমিতে রোপণ করলে ভালো হয়।

২. চারা রোপণের মাস খানেক আগে জমিতে ১.৫ ফুট X ১.৫ ফুট মাপের গর্ত তৈরি করে নিতে হবে।

৩. সারি তৈরি করে তাতে গর্ত খুঁড়লে তা চাষের জন্য ভালো। এক সারি থেকে অপর সারির দূরত্ব ৬ ফুট রাখতে হবে।

৪. এক গর্ত থেকে অপর গর্তের দূরত্ব ৬ ফুট রাখতে হবে।

৫. চারা রোপণের ১০-১২ দিন আগে গর্তের মাটির সাথে জৈব সার মিশিয়ে রাখতে হবে।

সার প্রয়োগ:

কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে মিষ্টি কুমড়া চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুয়ায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। 

তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশি যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশে-পাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব।

প্রতিকার:

মাছির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য বিষটোপ অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া ফসলে পোকার আক্রমণ হলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পোকা দমন না হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে।

পরিচর্যা:

১. চাষের সময় মাটির ঢেলা ভেঙ্গে দিতে হবে।

২. গাছের বাউনি ও অন্যান্য যত্ন করতে হবে।

৩. জমিতে আগাছা জন্মাতে দেওয়া যাবে না। আগাছা জন্মালে তা নিড়ানির সাহায্যে তুলে ফেলতে হবে।

৪. কৃত্রিম পদ্ধতিতে পুরুষ ফুলের রেণু স্ত্রী ফুলের উপর ছড়িয়ে দিলে উৎপাদন বাড়বে।

৫. গাছের গোড়ার দিকে ছোট ছোট শাখা-প্রশাখা বের হয়। এগুলোকে শোষক শাখা বলে। শোষক শাখা গাছের বৃদ্ধিতে বাধা দেয় ও ফলন কমিয়ে দেয়। তাই গাছের গোড়ার দিকে ১৬-১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত ডালপালা ধারালো ব্লেড বা ছুরি দিয়ে কেটে ফেলতে হবে।

আরও পড়ুন - Tomato Disease Control – জেনে নিন টমেটোর বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার পদ্ধতি সম্পর্কে

ফসল সংগ্রহ:

মিষ্টি কুমড়া পরিণত হলে গাছ থেকে তা সংগ্রহ করতে হবে। সাধারণত বীজ বপন বা চারা রোপণের ৩ থেকে ৪ মাস পর গাছ থেকে মিষ্টি কুমড়া তোলার উপযোগী হয়। ফল হলুদ বা হলদে বাদামী রঙ ধারণ করে। ফলের বোঁটা খয়েরী রঙ ধারণ করে এবং গাছ মরতে শুরু করে। পাকা কুমড়া সংগ্রহ করে ৫-৭ দিন ছায়াযুক্ত স্থান রেখে দিতে হবে।প্রতি বিঘা  জমি থেকে এক মৌসুমে প্রায় ২৫০ টি মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যায়।

মনে রাখতে হবে, কুমড়ো গাছে কিন্তু মাছি পোকার উপদ্রব দেখা যায়৷ এই পোকা দেখা মাত্রই মেরে ফেলতে হবে অথবা পোকামাকড় ধরার ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে৷ অথবা নিম তেল, সাবান গোলা জল স্প্রে করা যেতে পারে৷

আরও পড়ুন - Pointed Gourd – জেনে নিন পটলের বিভিন্ন রোগ ও তার নিরাময়ের ব্যবস্থাপনা

English Summary: How to make money by cultivating desi pumpkin
Published on: 16 August 2021, 02:29 IST