শাকালু- এর বৈজ্ঞানিক নাম Pachyrhizus tuberosus। আলুর মত গড়ন হলেও শাকালু ফলের মত কাঁচা খাওয়া হয়, আবার অন্য দিকে এটি সবজির মত রান্না করেও খাওয়া হয়।
ডাল শস্য (Pulse Seed) চাষের মতো শাকালু সাধারণত চাষ করা হয় না। পার্বত্য চট্রগ্রামে ঝুম চাষে অন্যান্য ফসলের সাথে এর চাষ করা হয়।
আসুন জেনে নেওয়া শাকালু চাষের জন্য কি কি করণীয়।
শাকালু চাষের উপযুক্ত জমি তৈরি ও চারা রোপন (Land Preparation & Seedling Plantation) :
পাহাড়ে মার্চ মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বর্ষার পর এই শাকালুর বীজ বুনে দেওয়া হয়। এবং সমতলে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাসে এর বীজ বপন করা হয়। বীজ থেকে দ্রুত চারা বের হয় এবং কোন কিছুকে অবলম্বন করে গাছ বাড়তে থাকে। গোড়ার কন্দ বা রাইজোম লাগালে তা থেকেও চারা হয়।
শাকালু চাষে সার প্রয়োগ/ব্যবস্থাপনা (Fertilizer Application):
শাকালু গাছে সাধারনত কোন প্রকার সার দেয়ার প্রয়োজন হয় না। প্রকৃতি থেকেই শাকালু তাঁর বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে। শাকালু চাষে কোন প্রকার জৈব সার দেয়ার প্রয়োজন হয় না। দিলে দেখা যায় যে গাছের ফুল ও পাতা অনেক বৃদ্ধি পায় কিন্তু ফলন কমে যায়। তাই বেশি ফুল পাতা হলে তা ভেঙে দিতে হবে।
শাকালু চাষে পোকামাকড় ও রোগদমন:
গাছ ও পাতায় রোটেনন নামক বিষাক্ত উপাদান থাকায় শাকালু গাছ সাধারণত কোনো পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয় না। গাছ লাগানোর ৭ থেকে ৮ মাস পরে আলু তোলা যায়। একবার কোনো জায়গায় শাকালুর গাছ হলে ও সেখানে মোথা রেখে দিলে তা থেকে পরের বছরও চারা বা গাছ হয়।
আরও পড়ুন - Thankuni Leaves - সঠিক নিয়মে বাড়ির টবেই থানকুনি চাষের কৌশল
শাকালুর ফলন:
আলুর জন্য এক বছরের মধ্যেই লাগানো ও ফসল তোলা হয়। সঠিক যত্ন ও পরিচর্যার মধ্যমে একরপ্রতি ১৪ থেকে ১৫ মেট্রিকটন শাকালুর ফলন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন - Grape Terrace Farming - সহজ পদ্ধতিতে নিজের বাড়িতেই করুন দ্রাক্ষার চাষ