এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 19 April, 2020 1:43 PM IST

যে সকল কৃষকরা আমের চাষ করছেন, তাদের জন্য কানপুর চন্দ্রশেখর আজাদ কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা একটি পরামর্শ  জারি করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, আমের গাছগুলি কীট ও রোগ থেকে রক্ষা করতে এই মুহুর্তে কৃষকদের আমের ফসলের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। উদ্যান বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর জানুয়ারিতে অতিরিক্ত শীতের কারণে আমের গাছগুলিতে মুকুল দেরিতে এসেছে এবং অনেক গাছে সংখ্যায়ও কম মুকুল হয়েছে। এ ছাড়া মার্চ মাসে বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত, বাতাস ও শিলাবৃষ্টির কারণে আমের ফসল প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন কারণে ইতিমধ্যেই ফলন ক্ষতিগ্রস্ত। এরপর যদি রোগ-পোকার আক্রমণের আধিক্য দেখা যায়, তাহলে কৃষকদের আরও লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে। সুতরাং কালবিলম্ব না করে এই সময় আমের ফসল রক্ষা করা দরকার। বিভিন্ন ধরণের পোকামাকড়ের আক্রমণ ঘটে এ সময়। আর তা সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে ফসল উৎপাদনে। তাই জেনে রাখুন রোগ-পোকার নিয়ন্ত্রণ ও কীটনাশকের প্রয়োগ বিধি সম্পর্কে।

আমের কিছু রোগ -

পাউডারি মিলডিউ - পাউডারি মিলডিউ আমের অন্যতম মারাত্মক রোগ। প্রায় সকল প্রজাতিতেই এটি দেখা যায়। রোগের লক্ষণ হল পাতাগুলিতে সাদা পৃষ্ঠের উপর এবং পাউডারের ন্যায় ছত্রাকের বৃদ্ধি। ক্ষতিগ্রস্থ ফুল এবং ফলগুলি প্রাক-পরিপক্কভাবে ঝরে পড়ে। ফুল ফোটার সময় বৃষ্টি হলে বা রাতে আবহাওয়া শীতল হয়ে গেলে এই রোগ বৃদ্ধি পায়।

নিয়ন্ত্রণ: রোগের কার্যকর নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়েটটেবল সালফার ০.২ শতাংশ (২ গ্রাম সালফেক্স / লিটার), ট্রাইডেমার্ফ ও.১ শতাংশ (১ মিলি ক্যালসিন / লিটার) এবং বাভিস্টিন @ ০.১% এর স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রথম স্প্রে মঞ্জরীর আবির্ভাবের সময় করতে হবে।

অ্যানথ্রাকনোজ : এই রোগটি কচি কান্ড, ফুল এবং ফলের গুরুতর ক্ষতি ঘটায়। এই রোগে পাতার দাগ, শুকনো ডগা, দাগ এবং ফলের পচন দেখা যায়।

নিয়ন্ত্রণ: রোগাক্রান্ত ডালগুলি কাটা পাতার সাথে ছাঁটাই করতে হবে। ফুল ফোটার সময় ১৫ দিনের ব্যবধানে কার্বেনডাজিরন (বাভিস্টিন 0.১%) এর সাথে দু'বার স্প্রে করে ফুলের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ফোমা ব্লাইট: রোগের লক্ষণ পুরানো পাতায় লক্ষ্য করা যায়। প্রাথমিকভাবে, হলুদ থেকে হালকা বাদামী বর্ণের দাগ পাতার ল্যামিনার উপর ছড়িয়ে থাকে। রোগ বৃদ্ধির সাথে সাথে তা আরও গাঢ় বর্ণ ধারণ করে। পরবর্তীকালে এই জাতীয় দাগ সংক্রামিত পাতাগুলি সম্পূর্ণরূপে ক্ষয়ে যায়।

নিয়ন্ত্রণ: বেনোমিল (০.২%) স্প্রে করে রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তারপরে ২০ দিনের ব্যবধানে ০.৩% মিলটক্স (কপার অক্সিচ্লোরিড + জিনেব) স্প্রে করতে হবে।

ব্যাকটিরিয়াল ক্যাঙ্কার : ক্যাঙ্কার ভারতে একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগের ফলে ফল ঝরে যাওয়া (১০-৭০%), ফলন হ্রাস (১০-৮৫%) এবং স্টোরেজ রট (৫-১০০%) হয়। ল্যাংড়া, দশেহরি, আম্রপালী, মল্লিকা এবং তোতাপুরী সহ আমের অনেক বাণিজ্যিক চাষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাতা, শাখা এবং ফলে এই রোগ দেখা যায়। গুরুতর সংক্রমণে পাতা হলুদ হয়ে যায় এবং কচি ফলগুলিতেও দেখা রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়।

নিয়ন্ত্রণ: এই রোগের নিয়ন্ত্রণে স্ট্রেপ্টোসাইক্লিন (০.০১%) বা অ্যাগ্রিমাইসিন -১০০ (০.০১%) স্প্রে ১০ দিনের ব্যবধানে এবং কার্বেনডাজিম (বাভিস্টিন 0.1%) বা কপার অক্সি ক্লোরাইড (0.৩%) মাসে একবার প্রয়োগ কার্যকর।

স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)

English Summary: Know how to keep mango trees safe from major pests and diseases
Published on: 19 April 2020, 01:43 IST