থানকুনি আমাদের সকলের পরিচিত ঔষধি গাছ। থানকুনি পাতা অনেক ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ। থানকুনির রসে রয়েছে শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী খনিজ ও ভিটামিন জাতীয় পদার্থ।এটি সাধারণত বাড়ির আশে পাশে পাওয়া যায়। এছাড়াও রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে, মাঠে স্যাঁতস্যাতে জায়গাগুলোতে বর্ষাকালে বেশি পাওয়া যায়। থানকুনি এক ধরনের বর্ষজীবী লতা।এছাড়া সারা বছরই কম-বেশি পাওয়া যায়। অনেক বাজারে থানকুনি পাতা পাওয়া যায়।
থানকুনি চাষে মাটি তৈরি :
প্রায় সবধরনের মাটিতেই থানকুনি পাতার চাষ করা যায়। তবে থানকুনি পাতা চাষের জন্য দোআঁশ অথবা বেলে দোআঁশ মাটি সর্বোত্তম। তাই এই মাটি বাছাই করে টব তৈরি করা উচিত।
টবের আকৃতি বাছাই :
থানকুনি পাতা চাষের জন্য আপনি ছোট অথাবা মাঝারি সাইজের যেকোন ধরণের পাত্র অথবা টব নির্বাচন করতে পারেন। এছাড়াও মাঝারি সাইজের বোতল কিংবা কোন পুরান পাত্র ব্যবহার করতে পারেন।
রোপনের সময় :
বছরের যেকোন সময়েই আপনি থানকুনির চাষ করতে পারেন। এই গাছ সারা বছরই আপনার বাড়ির চিলেকোঠা বা ছাদে অথবা ঘরের বারান্দায় অথবা বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠোনে চাষ করতে পারেন।
জল সেচ :
থানকুনি পাতা সাধারণত দুই ভাবে বংশ বিস্তার করে। একটি হল বীজের মাধ্যমে ও অপরটি হল অঙ্গজ জনন। থানকুনি গাছের প্রতিটি গিট থেকে শিকড় বের হয়। এই শিকড়-সহ লতা এনে আপনি টবে অথবা উপযুক্ত পাত্রে স্থাপন করলেই দেখবেন গাছ তৈরি হবে। থানকুনি পাতা জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। তাই পানি দেওয়ার সময় সঠিক নিয়মে পরিমাণ মত পানি দিতে হবে। থানকুনি পাতা আর্দ্র মাটি পছন্দ করে।
থানকুনি পাতা চাষাবাদ কৌশল:
থানকুনি গাছে সঠিক নিয়মে সূর্যের আলো লাগতে দিতে হবে। থানকুনি গাছের টব নিয়মিত বাতাসের সংস্পর্শে রাখতে হবে। নিয়মিত জৈব সার দিতে হবে। গাছ বেশি বড় হয়ে গেলে কিছু গাছ ছেঁটে নিয়ে অন্য পাত্রে লাগাতে হবে। বেশী লতা হলে কিছুটা ছাটাই করতে হবে।
গাছের যত্ন ও পরিচর্যা:
থানকুনি পাতা চাষের ক্ষেত্রে সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে। গাছের গোড়ায় যেন কোন প্রকার আগাছা না জন্মে। আগাছা জন্মালে তা পরিষ্কার করে দিতে হবে। শুকনা ও মরা পাতা ছাটাই করে দিতে হবে।
থানকুনির পাতা বা ফল সংগ্রহ :
থানকুনি পাতা আপনি বছরের যেকোন সময়েই সংগ্রহ করতে পারেন। তবে বসন্তকালে থানকুনি লতার ফুল আসে এবং গ্রীষ্মকালে এই ফল পাকে।
আরও পড়ুন - নারকেল গাছে ফলন বৃদ্ধিতে সার প্রয়োগের পরিমাণ ও কীট পরিচালনা (Management Of Coconut Tree)