এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 17 June, 2020 2:01 PM IST

খারিফ মরসুমে আমন ধান চাষে শতভাগ লাভ করতে হলে কিছু বিশেষ সতর্কতা চাষী কে অবলম্বন করতে হবে। ক্ষেতের অন্তর্বর্তীকালীন যত্ন নিতে হবে, ক্ষেতে আগাছা জন্মালে তা পরিষ্কার করতে হবে। উন্নত ফলন পেতে হলে এই সময় ধান চাষে যে রোগ-পোকার আক্রমণ ঘটে, তা দমন করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। কীভাবে চাষী ভাইরা শস্য সুরক্ষার বিষয়টি পরিচালনা করবেন, তার পরামর্শ দিয়েছেন বরিষ্ঠ কৃষি বিজ্ঞানী ড. কিরনময় বাড়ৈ। আমন ধানে যে সকল পরিচর্যা করতে হবে, তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

বীজতলায় আগাছা দমন -

অনেক ক্ষেত্রেই ধানের বীজতলায় আগাছা দমন একটা প্রকট সমস্যা। সেক্ষেত্রে আগাছানাশক হিসেবে বিস পাইরিব্যাক সোডিয়াম (নমিনি গোল্ড/তারাক/আ্যাডোরা/ম্যাচো) ৩৫ মিলি/বিঘা বা প্রোটিলাক্লোর + সেফনার (সফিট/ইরেজ এন) ১৭০ মিলি/বিঘা জমির জন্য বীজ বোনার ১ দিন পর আর্দ্র মাটিতে স্প্রে করতে হবে।

চাষে আগাছা দমন :

আগাছা সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রণ না করলে ধানের ফলন ২০-৩০ শতাংশ নষ্ট করে দিতে পারে। রোয়ার ২০ ও ৪০ দিন পর নিড়ান দিতে হবে। কিন্তু বর্তমানে অপ্রতুল কৃষি শ্রমিক এবং অত্যাধিক মজুরীর কারণে উৎপাদন খরচ অনেক বেশী হয়ে যাচ্ছে বলে আগাছা নাশকের ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। জমিতে আগাছা প্রাদুর্ভাবের সময় অনুযায়ী রোয়ার ১-৩ দিনের মধ্যে বিঘা প্রতি ১৩৫ মিলি প্রেটিলাকোর বা ৪-৫ দিনের মাথায় ৩৩৫ মিলি বিউটাক্লোর বা ১৪ দিনের মাথায় ৩৫ মিলি বিসপাইরিব্যাক সোডিয়াম বা ২১ দিনের মাথায় ৯.৩ গ্রাম অ্যাজিমসালফিউরন ৪ ব্যারেল তথা ৬০ লিটার জলে মিশিয়ে ছিপছিপে আর্দ্র জমিতে প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

শস্য সুরক্ষা -

ভালো ফলন ও ভালো লাভের জন্য শস্য সুরক্ষা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কারণ, সঠিক সময়ে তা নিয়ন্ত্রণ না করলে প্রভূত ক্ষতির সম্ভবনা থাকে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কীটশত্রু ও তার দমন ব্যবস্থা সম্পর্কে উল্লেখ করা হল –

১) মাজরা পোকা – রোয়ার সময় দানাদার কীটনাশক যেমন কারটাপ ৩ কেজি/বিঘাতে প্রয়োগ করুন। আর মূল জমিতে প্রথমে নিমতেল ও পরে ফ্লুবেন্ডিয়ামাইড ২.৫ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার জলে স্প্রে করুন।

২) বাদামী শোষক পোকা – প্রতি ১০ সারি রোয়ার পর ২ সারি বাদ দিন এবং প্রয়োজনে বুপ্রোফেজিন ১ মিলি/লি জলে স্প্রে করুন।

৩) গন্ধী পোকা ­– বিষ টোপ ব্যবহার করুন।

৪) পামরী পোকা – কেরোসিন ভেজা দড়ি গাছের উপর দিয়ে টানুন।

৫) পাতামোড়া পোকা – এক্ষেত্রে ফিপ্রোনিল ১ মিলি/লি জলে মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৬) শ্যামাপোকা ও টাংরো ভাইরাস – চারা তোলার আগে ফিপ্রোনিল ১ মিলি এবং মূল জমিতে ইমিডাক্লোরপ্রিড ৩ মিলি/১০ লি জলে ব্যবহার করা হয়।

৭) বাদামী দাগ – অবশ্যই বীজ শোধন করুন আর প্রয়োজনে কার্বেন্ডাজিম ১ গ্রাম/লি জলে মিশিয়ে স্প্রে করুন।

৮) খোলা ধ্বসা – ভ্যালিডামাইসিন ২.৫ মিলি/লি জলে মিশিয়ে স্প্রে করুন।

৯) ঝলসা রোগ – এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। সকালের দিকে দড়ি টেনে পাতার শিশির ঝেড়ে ফেলুন। ট্রাইসাইক্লাজোল ০.৫ গ্রাম/লিটার জলে মিশিয়ে ভালো করে স্প্রে করুন।

১০) কলম স্পট বা ভুষো রোগের জন্য বীজ শোধন অবশ্যই করুন আর ফুল আসার আগে কপার হাইড্রক্সাইড ২ গ্রাম/লি জলে মিশিয়ে স্প্রে করুন।

ড.কিরনময় বাড়ৈ (বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ও প্রধান, হাওড়া কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগৎবল্লভপুর, হাওড়া)

Related link - #বর্ষা ২০২০, আমন ধানের বীজ বাছাই, বীজ শোধন ও বীজতলা (Aman paddy seedbed preparation) তৈরী

#বর্ষা ২০২০, এই মরসুমে পেঁয়াজ চাষ করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করতে পারেন কৃষক

বর্ষায় এই বরবটি চাষে (Cowpea Cultivation) হতে পারে অভাবনীয় উৎপাদন, কীভাবে করবেন জেনে নিন

English Summary: #Monsoon 2020, DISEASE & PEST MANAGEMENT OF AMAN PADDY TO GET BETTER YIELD
Published on: 17 June 2020, 02:00 IST