কথায় আছে ‘One apple a day keeps doctor away’। এই কথাটি কিন্তু পেয়ারার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। রোজ একটি করে পেয়ারা খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এমনকি কঠিন দূরারোগ্য ব্যাধিকেও দূরে রাখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই পেয়ারার চাষ হয়। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বারুইপুর অঞ্চল পেয়ারার জন্য প্রসিদ্ধ।
স্ট্রবেরি পেয়ারা ব্রাজিলের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের এক বিশেষ ধরনের পেয়ারা এবং হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে এর চাষ অনেক বেশি হয়।এই স্ট্রবেরি পেয়ারার গাছ ২ থেকে ৬ মিটার পর্ন্ত বড় হয়। এই পেয়ারা প্রচুর পরিমানে ধরে।এটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি সুস্বাদু।
এই পেয়ারা দেখতে দেশি পেয়ার মতোই। তবে আকারে অনেক ছোট। এই পেয়ারার রং খুবই আকর্ষনীয়। স্ট্রবেরির মতো লাল, হলুদ ও পার্পেল কালারের হয়ে থাকে। পেয়ারার এই জাতটি কিন্তু অনেক সহজেই আপনি চাষ করতে পারেন বা নিজের বাড়িতে এই গাছ লাগাতে পারেন।
টবে স্ট্রবেরি পেয়ারার চাষ পদ্ধতি (Strawberry Guava Cultivation) -
স্ট্রবেরি পেয়ারা চাষ করার জন্য প্রথমে সঠিকভাবে মাটি তৈরি করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বেলে দো-আঁশ মাটি সর্বোত্তম। প্রথমে ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটির সাথে ১ ভাগ গোবর, ৪০-৫০ গ্রাম টিএসপি সার এবং ৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার দিয়ে ড্রাম বা টবে ভরে ১০-১২ দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। অতঃপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে । যখন মাটি ঝুরঝুরে হবে তখন একটি সবল সুস্থ চারা সেই টবে/ ড্রামে রোপণ করতে হবে।
বংশবিস্তার (Propagation) -
বীজ বা কলমের মাধ্যমে স্ট্রবেরি পেয়ারার বংশবৃদ্ধি করা যায়। বীজ থেকে গজানো চারা ব্যবহার করলে ফলের গুণগতমান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুতে আক্রান্ত হয়। ঢলে পড়া বা উইল্টিং রোগ পেয়ারা চাষের জন্য একটি অন্তরায়। তাই জোড় কলমের মাধ্যমে উইল্টিং প্রতিরোধী গাছ তৈরি করে স্ট্রবেরি পেয়ারার সফল উৎপাদন করা সম্ভব। স্ট্রবেরি পেয়ারা গাছে পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রয়োজন।
পেয়ারা গাছের কুশিভাঙা -
সাধারণত বৈশাখ মাসে পেয়ারার চারা লাগানো হয়। এরপর ৮-৯ মাস বয়সের গাছে ফল আসে। অতিরিক্ত বৃদ্ধি কমানো এবং ডাল সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য কুশি ভেঙে দেওয়া হয়। কুশি ভাঙার ২০-২৫ দিনের মধ্যেই নতুন অতিরিক্ত কয়েকটি কুশি আসে। আর যত বেশি কুশি আসবে তত বেশি ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিবে।
আরও পড়ুন - Bottle Gourd Rooftop Farming - বাড়ির ছাদে লাউ চাষ করে অর্থ উপার্জন করুন সহজেই
সার প্রয়োগ –
গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের জন্য গাছের বাড়ন্ত অবস্থায় ও ফুল ধরার সময় সঠিক মাত্রায় সার ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন - Papaya Farming – অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য নিজের বাড়ির বাগানেই চাষ করে ফেলুন পেঁপে