১ থেকে ৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে 'মিলিয়নেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া' অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন জেনে নিন গরু ও মহিষের জন্য সস্তায় খাবার প্রস্তুত করুন, বিস্তারিত জেনে নিন স্বল্প পরিসরে মাছ চাষ করুন, রইল সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
Updated on: 7 October, 2021 12:21 PM IST
Rubber farming (image credit- Google)

রাবার গাছের চাষ পদ্ধতি খুবই সহজ | রাবার গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Ficus elastica।বাগান ও ঘর সাজানোর গাছ হিসেবেও রাবার সুপরিচিত। বায়ু শোধন করে পরিবেশকে নির্মল রাখার ক্ষেত্রে রাবার গাছের উপকারিতা দুর্দান্ত | প্রাকৃতিক পরিবেশে রবার গাছ ৫০ ফুটেরও বেশি উঁচু হতে পারে | এটি আসলে বৃক্ষ জাতীয় গাছ, অল্প যত্ন পেলেই এই গাছ সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে | তবে, জেনে নিন রাবার চাষের সহজ পদ্ধতি

উপযোগী ভূমি, আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত(Climate and soil):

জলবায়ু, আবহাওয়া ও মাটির গঠনের  উপর রাবার চাষের সফলতা নির্ভরশীল। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১০০-২০০ মিটার উচ্চতার ভূমি প্রাকৃতিক রাবার চাষের জন্য সর্বাধিক উপযোগী। মাটির গঠন ৩৫% কাদা ও ৩০% বালি অর্থাৎ বেলে দোঁয়াশ মাটি এই চাষের জন্য উপযুক্ত | মাটিতে নাইট্রোজেন, ফসফেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাংগানিজ ইত্যাদি পদার্থ কম বেশি থাকা প্রয়োজন। তাছাড়া ভূপৃষ্ট থেকে  নীচে অন্ততঃ ১০০সেঃমিঃ পর্যন্ত পাথর স্তর মুক্ত ও জলের স্তর ১০০-১৫০ সেঃমিঃ থাকা উচিত। সারা বছরে গড় বৃষ্টিপাত ২০০-২৫০ সেঃমিঃ এবং গড় তাপমাত্রা ২৫-৩৫ ডিগ্রী সেঃ হওয়া বাঞ্চনীয়। মাটির পি এইচ রেঞ্জ ৪-৫.৫ এর মধ্যে থাকতে হবে। রাবার চাষ এলাকায় জল জমে থাকতে পারবে না এবং জল নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে।

আগাছা দমন:

রাবার চাষের জমি থেকে  আগাছা খুব ভালভাবে কেটে পরিষ্কার করতে হবে। আগাছা কাটার কিছুদিন পর আগাছা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এ কাজটি কমপক্ষে দুবার পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে। আগাছা কাটা ও পোড়ানোর পর অবশিষ্ট ষ্ট্যাম্প ও আগাছা ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। কমপক্ষে ৩ বার গ্লাইফোসেট প্রয়োগ করতে হবে।

আরও পড়ুন -Banana varieties: জেনে নিন সাগর কলা চাষ পদ্ধতির সহজ উপায়

বীজতলা তৈরী:

সমতল জমিতে বীজতলা তৈরী করতে হয়। বেডে ২˝- ৩˝ ইঞ্চি পুরু নদীর বালি ব্যবহার করা বেশ ভালো । নদীর বালি না পাওয়ার কারণে মাটি ব্যবহার করা হলে ৬˝ ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত সুন্দরভাবে কর্ষন করতে হবে।  বীজতলার উপর ২´- ৬˝ হতে ৩´- ০˝ উচ্চতার ছাউনি (শেড) দিতে হবে। বীজের চ্যাপটা পাশ নিচের দিকে ৩/৪ অংশ পাশাপাশি এমনভাবে বেডে (বালিতে) বসাতে হবে যাতে করে বীজের উপরের অংশ দৃশ্যমান থাকে। তাজা/টাটকা বীজ বালিতে বপন করলে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে অংকুরিত হয়। মাটিতে বপন করলে ১০-১৪ দিন সময় লাগে। ১৪ দিনের মধ্যে  যে সমস্ত বীজ অংকুরিত হয় না, তা পরিত্যাগ করতে হবে। বীজ থেকে যখন ভ্রুনমূল বেরোতে আরম্ভ করবে তখন খুব সতর্কতার সাথে পলিব্যাগ স্থানান্তর করতে হবে। স্থানান্তরের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে অংকুরিত বীজে যেন কোনক্রমেই সূর্যের আলো না লাগে এবং শুক্ষতা না আসে।

সেচ:

রাবার গাছে জল দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা দরকার। বেশি জলে রাবার গাছের শিকড় বা গোড়া পচে যেতে পারে। আবার টবের মাটি একেবারে শুকিয়ে গেলেও এ গাছের ক্ষতি হয়।

রোগ ও প্রতিকার(Disease management system):

রাবার গাছের রোগ খুব কমই দেখা যায়। কদাচিত অ্যাফিড, মিলি বাগ, মাইটস, স্কেল ইত্যাদি পোকামাকড়ের আক্রমণ ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে গাছের আক্রান্ত অংশটা যত্ন সহকারে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে বা রাবিং অ্যালকোহল (আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল)-এ তুলো ভিজিয়ে মুছে ফেলতে হবে। এধরনের পরিস্থিতিতে রাবার গাছে নিম তেল স্প্রে করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন -Weed management methods: দেখে নিন ক্ষেতের আগাছা দমন করার উপায়

English Summary: Rubber farming process: Learn the easy way to cultivate rubber
Published on: 06 October 2021, 08:20 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)