এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 31 August, 2021 2:23 PM IST
Sapota tree (image credit- Google)

সবেদা অত্যন্ত মিষ্টি ও পুষ্টিকর ফল | সবেদা গাছ বহুবর্ষজীবী, চিরসবুজ। এর আদি নিবাস সাধারণত মেক্সিকোর দক্ষিণাংশ, মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, গ্লুকোজ | সাধারণত, মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস হলো সবেদার চারা কলম রোপণের উপযুক্ত সময়। কলমের মাধ্যমে উৎপাদিত রোগমুক্ত এক থেকে দেড় বছর বয়সী চারাকে রোপণের জন্য নির্বাচন করা উচিত।

মাটি(Soil):

ঘন বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চলে সবেদা চাষ ভালো হয়। প্রায় সব রকমের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে জল  নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত গভীর ও ঝুরঝুরে মাটি হলে এই ফলের চাষ বেশি ভালো হয় |

জমি তৈরী:

বর্ষায় জল জমে না এ ধরনে উঁচু জমি সবেদা চাষের জন্য নির্বাচন করা উচিত। জমি ২ থেকে ৩ বার ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে |

বংশবৃদ্ধি:

সবেদার বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে গাছ রোপণ করা যায়। এ গাছে ফল ধরতে ৭-৮ বছর লেগে যায়। চারা উৎপাদন করতে ২-১ দিন বীজ জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর বেলে দো-আঁশ মাটি দেখে বীজ রোপণ করতে হয়। এছাড়া কলম চাষের মাধ্যমেও বংশ বৃদ্ধি করা যায়।

আরও পড়ুন -Successful bean farming: বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গায় অটো জাতের শিম চাষে কৃষকদের ব্যাপক সাফল্য

রোপণ দূরত্ব:

জাত ও মাটি ভেদে ৫x ৫ মিটার থেকে ৬x ৬ মিটার দূরত্বে সবেদার চারা কলম রোপণ করা যেতে পারে।

গর্ত তৈরি:

৫০x ৫০x ৫০ সেন্টিমিটার আকারের গর্ত তৈরি করতে হবে | প্রতি গর্তে ২০ থেকে ৩০ কেজি পচা গোবর সার প্রয়োগ করে গর্তের মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। প্রয়োজনে খুঁটি দিয়ে চারাটিকে বেঁধে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর গাছের গোড়ায় সেচ দিতে হবে। বর্ষার সময় যাতে জল না জমে সেজন্য চারার গোড়ার মাটি একটু উঁচু করে দিতে হবে।

সার প্রয়োগ(Fertilizer):

গাছ লাগানোর ১ বছর পর প্রতি বর্ষার আগে গাছপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ কেজি পচা গোবর সার, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি, ১৫০ গ্রাম এমওপি, ৪০ গ্রাম বোরাঙ্, ৫০ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট সার প্রয়োগ করতে হবে। এরপর গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এই পরিমাণ সার সমান ৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তি ফল আহরণের পর বর্ষার শুরুতে, দ্বিতীয় কিস্তি বর্ষা শেষে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এবং শেষ কিস্তি গাছে ৮০ ভাগ ফুল আসার পর প্রয়োগ করতে হবে।

সেচ:

চারা গাছের বৃদ্ধির জন্য শুকনো মৌসুমে ৫ থেকে ১০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। ফলন্ত গাছের বেলায় ফুল ফোটা থেকে ফল পরিপক্ব হওয়া পর্যন্ত গাছের গোড়ার মাটিতে রস রাখতে হবে এবং সার প্রয়োগের পর সেচ দিতে হবে। বর্ষার সময় যাতে গাছের গোড়ায় জল  জমে না থাকে তার জন্য জল নিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।

রোগ ও প্রতিকার(Disease management system):

সবেদাতে তেমন কোনো মারাত্মক রোগবালাই দেখা যায় না। তবে কখনও কখনও পাতার দাগ পড়া ও শুটিমোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে | এ রোগের আক্রমণে পাতায় অসংখ্য হালকা ছোট ছোট গোলাপি বা লালচে বাদামি রঙের দাগ পড়ে। দাগগুলোর কেন্দ্রস্থল সাদাটে। এ রোগ সাধারণত জুলাই-সেপ্টেম্বরর মাসে দেখা যায়। প্রতি লিটার জলে  ২ গ্রাম ডাইথেন এম-৪৫ মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ বার সব গাছে স্প্রে করতে হবে।

ফল সংগ্রহ:

ফল শক্ত অবস্থাতেই সংগ্রহ করতে হবে। ৫ বছরের কলমের একটি সবেদা গাছে ৩৫০ থেকে ৫৫০টি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন -Jayanti Rohu Fish Farming: জয়ন্তী রুই মাছ চাষে আপনিও হবেন লাভবান , শিখে নিন কৌশল

English Summary: Sapota Farming: You also benefit from farming sapota in this way
Published on: 31 August 2021, 12:45 IST