'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 1 August, 2021 9:39 AM IST
seaweed (image credit- Google)

সামুদ্রিক মৎস্যের জল আয়তনের অর্থনৈতিক এলাকা ৪১,০৪১ বর্গ নটিক্যাল মাইল হতে পারে পুষ্টি নিরাপত্তার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। সফল শৈবাল চাষে উৎপাদিত সামুদ্রিক শৈবাল এনে দিতে পারে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা। সামুদ্রিক শৈবাল চাষ গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও উন্নত করতে সহায়তা করে | বর্হিবিশ্বে সামুদ্রিক শৈবালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশ্বে শৈবালের প্রতি বছরে উৎপাদন প্রায় ১০ মিলিয়ন টন যার আর্থিক মূল্য ১২ বিলিয়ন ডলার। এ্যাকুয়াকালচার উৎপাদনে শৈবালের অবস্থান দ্বিতীয়। শৈবাল সম্ভাবনাময় জলজ উদ্ভিদ যার পুষ্টিমান অন্যান্য জলজ প্রজাতির চেয়ে কম নয়।

বাংলাদেশের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে প্রায় ১৪০ ধরনের শৈবাল জন্ময় | তাছাড়া প্যারাবন এলাকাতেও ১০ প্রকারের শৈবাল পাওয়া যায়। দেশে শৈবাল চাষ একটি সম্পূর্ণ নতুন উদ্যোগ এবং এর চাষ পদ্ধতি খুব সহজ। সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি প্রজাতি Caulera racemosa, Hypnea sp. স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন চাষ পদ্ধতি অবলম্বন করে শৈবাল চাষ সূচনা হয়েছে |

শৈবাল চাষের সুবিধা(Benefits of Seaweed):

স্বল্প বিনিয়োগে শৈবাল চাষ কৃষকবন্ধুদের জন্য বেশ লাভজনক | শৈবাল চাষীদের জন্য স্বল্প বিনিয়োগের নিশ্চয়তা শৈবাল চাষকে সমপ্রসারিত করতে পারে অনেকখানি। গৃহস্থালী উপকরণ (দড়ি, বাঁশ, জার, প্লাস্টিক বয়াম) ব্যবহার করে চাষীরা সহজে এ চাষ পদ্ধতি শুরু করতে পারে। জোয়ার ভাটার মাঝের স্থানে অধিকাংশ শৈবাল জন্মায়। সে কারণে ভূমিহীন চাষীগণ খাস সরকারি অনাবাদি জলাভূমিতে বিনা বাধায় চাষ করতে পারবে।

আরও পড়ুন -Monsoon business ideas: বর্ষায় এই কয়েকটি ব্যাবসায় আপনিও হতে পারেন লাভবান

শৈবালের ঔষধি গুন্(Medicinal properties):

আন-র্জাতিক বাজারে শৈবালের দিন দিন চাহিদা বাড়ছে, কারণ শৈবালে আছে ওষুধিগুণ। শৈবাল টিউমার, রক্তচাপ, হৃদরোগসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমায়।

কেন শৈবাল চাষ করা হয়?

প্রাকৃতিক পরিবেশে জন্মানো শৈবাল বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয় জনগণ  শৈবাল কুড়িয়ে, তা শুকিয়ে বিদেশে রফতানি করে এবং কিছু শৈবাল সার হিসেবে ব্যবহার করে।  প্রাকৃতিক উৎস থেকে শৈবাল সংগ্রহ না করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে শৈবাল চাষাবাদ করলে শৈবালের গুণগতমান যেমন রক্ষা হয় তেমনি আর্থিকভাবে লাভবানও হওয়া যায়।

উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম খুব সীমিত। এ অঞ্চলের জনসাধারণ বেশিরভাগ সময় বেকার থাকে। তারা দৈনিক ভিত্তিতে আয় করে। অর্থ জমানোর সুযোগ থাকে না। ফলে আর্থিক অভাব অনটন তাদের লেগেই থাকে, বাড়ে ঋণের বোঝা।  উপকূলীয় অঞ্চলের চাষীদের বিকল্প আয়, স্থিতিশীল পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টিতে শৈবাল চাষ উল্ল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।

চাষ পদ্ধতি(Farming process):

শৈবাল চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। লোকজনের আনাগোনা কম ও পরিষ্কার সমুদ্রের জলের খুঁটি বসাতে হবে। তারপর খুঁটির দুপ্রান্তে দড়ি আটকিয়ে এবং বাঁশের ফ্রেম তৈরি করে তার মধ্যে জাল লাগিয়ে শৈবাল চাষ করা যায়। দড়ির ফাঁকের মাঝে শৈবাল টিস্যু নরম সুতা দিয়ে আটকিয়ে দিতে হবে যেন জলের স্রোতে ভেসে না যায়। শৈবাল চাষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক দিক থেকে লাভবান হওয়ার জন্য |

আরও পড়ুন -শেড নেট পদ্ধতিতে পান চাষে বিঘা প্রতি ব্যাপক আয়ের সুযোগ

English Summary: Seaweed Farming: Learn how to grow seaweed
Published on: 31 July 2021, 03:37 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)