Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 1 February, 2021 10:00 PM IST
Bel Flower

বেলি ফুলের (Arabian jasmine) বৈজ্ঞানিক নাম হল Jasminum sambac. সুগন্ধি ফুলের মধ্যে বেলী জাতীয় ফুলগুলি অন্যতম।  সুমিষ্ট গন্ধের জন্য এই জাতীয় ফুলের কদর খুব বেশি। 

ফাল্গুন থেকে শুরু করে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত বেলি ফুল ফোটে। বর্ষাকালেও থাকে। বেলি ফুল মূলত সন্ধ্যায় ফোটে এবং পরদিন দুপুরে ঝরে যায়। বাগানে ও টবে চাষ করা যায় । কলম ও শিকড় থেকে চারা তৈরি করা যায়। শীতকালে গাছ ছেঁটে দিতে হয় । 

বেলী ফুলের পাপড়ি হতে সুগন্ধি তৈল নিষ্কাশন করে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীতে ব্যবহার করা হয়। সেই জন্য, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বেলী ফুলের চাষ খুব লাভজনক। অবাধ সূর্যালোক পায় এমন উঁচু পলি-দো-আঁশ মাটি বেলী ফুলের চাষের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট। যথাসময়ে সারপ্রয়োগ, জলসেচন ও গাছ ছাঁটাই -এর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখিলে লাভজনকভাবে এই ফুল উৎপাদন করা যায়।

বেলীর জাত (Flower) -

বেলী ফুলের প্রজাতি ৪ টি - 

১. রাইবেলী-পাপড়ি সুসজ্জিত ফুল খুব ছোট ও তীব্র গন্ধযুক্ত।

২. খয়েবেলী- তীব্র সুগন্ধযুক্ত ছোট ফুল হয়।

৩. মতিয়াবেলীফুলের আকার বড়, অসংখ্য পাপড়ি ও সুগন্ধযুক্ত।

৪. ভরিয়াচেলী-এটাকে রাজবেলীও বলে যার ফুল বড়, গড়ন ও গন্ধযুক্ত মনোমুগ্ধকর।

জমি প্রস্তুত - 

১. মোল্ডবোর্ড লাঙ্গল বা কুদাল দ্বারা প্রাথমিক কর্ষণের পর দেশী লাঙ্গল দ্বারা লম্বা ও আড়াআড়িভাবে ২ থেকে ৩ বার কর্ষণ করে মই দিয়ে জমি সমতল করে চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

২. তারপর, সারি হতে ৯০ সেঃ মিঃ ও গাছ হতে গাছের দূরত্ব ৬০ সেঃ মিঃ রেখে ৪৫× ৪৫×৩০ সেঃ মিঃ আকারের গর্ত খনন করতে হবে।

৩. প্রতি গর্তে ১০-১৫ কেজি গোবর সার ও এক কেজি কাঠের ছাই প্রয়োগ করে মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে।

চারা রোপণ -

সাধারণতঃ জুলাই মাসে চারা রোপণ করা হয়। কাটিং বা শাখা-কলম, দাবা-কলম (দুটি) অথবা মাতৃ উদ্ভিদ হতে শিকড়সহ পৃথক চারা বংশ বিস্তারের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই চারা প্রতিটি গর্তে ৮-১০ সেঃ মিঃ গভীরতায় সোজাভাবে রোপণ করতে হবে।

আরও পড়ুন - অধিক ও উন্নতমানের ফসলের ফলনের জন্য মাটিতে অম্লত্ব ও ক্ষারত্বের সমতা বজায় রাখুন এই পদ্ধতিতে (Process To Higher & Better Crop Yield)

পরিচর্যা - 

বর্ষাকালে জলসেচনের বিশেষ প্রয়োজন হয় না। শুধু মাঝে মাঝে কোদাল দিয়ে কোপাইয়া মাটি আলগা করে দিতে হবে এবং আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে। শীতকালে ও গ্রীষ্মকালে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। বেলী গাছে মাকড় এবং পত্রভুক পোকার উপদ্রব দেখা যায়। এই কীট-শত্রুগুলি দমনের জন্য কেলথেন ১৮ ই. সি.-র।

গাছ ছাঁটাই - 

গাছ ছাঁটাইয়ের উপর ফুল উৎপাদন নির্ভর করে। জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি গাছ। ছাঁটাই করতে হবে । ছাঁইয়ের ১৫ দিন আগে হতে জমিতে জলসেচ বন্ধ করতে হবে । মাটি হতে ৭৫-৯০ সেঃ মিঃ উচ্চতা পর্যন্ত রেখে পুরাতন শাখাগুলির বাড়তি অংশ ছটিয়া দিতে হবে। তারপর, প্রতি গাছের পুরাতন পাতাগুলিও ছটিয়া ফেলতে হবে। ছাঁটাইয়ের এক সপ্তাহ পরে প্রতিটি গাছের গোড়া হতে মাটি সরিয়ে সার প্রয়োগ করে সেচ দিতে হবে।

সার প্রয়োগ - 

বেলী গাছের বর্ধনশীল নরম কান্ড ও শাখায় পুষ্প মুকুল আসে বলিয়া ইহাদের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট সার প্রয়োগ করা দরকার । গাছ ছাঁটাইয়ের পর জানুয়ারী মাসে একবার ও জুলাই মাসে আর একবার সার প্রয়োগ করতে হয়। প্রতিবারে গাছপিছু খামারের সার ১৫ কেজি অ্যামোনিয়াম সালফেট ৩০০ গ্রাম, সিঙ্গল সুপার ফসফেট ৭৫০ গ্রাম এবং মিউরিয়েট অফ পটাশ ২০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। গাছের চারিধারে অগভীর মাদায় এই সার প্রয়োগ করে মাটি চাপা দিতে হবে।

জলসেচন -

ফুলের বড় কুঁড়ি উৎপাদনের জন্য নিয়মিত সেচের আবশ্যক। বেলী ফুলের চাষ করার জন্য জানুয়ারী মাসে সার প্রয়োগের পর হতে প্রতি ৪ দিন অন্তর সেচ প্রয়োগ করলে বড় বড় কুঁড়ি হয় এবং ফুলের উৎপাদনও বেশী হয়। সেচের অভাব হলে, কুঁড়ি ছোট হইয়া যায় অথবা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়।

ফুল সংগ্রহ - 

ফুলের পাপড়ি হতে বান তৈল নিষ্কাশনের জন্য সদ্য ফোটা ফুল কারখানায় পাঠানো হয়। সাধারণত বসন্তকালের শুরু হতে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময় হতে বিভিন্ন জাতের বেলী গাছে ফুল ফুটিতে আরম্ভ করে এবং বর্ষার প্রারম্ভ পর্যন্ত ফুল ফোটা চলতে থাকে। 

আরও পড়ুন - অতি রাসায়নিক কৃষিব্যবস্থায় ক্রমশ কমছে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির হার (Agricultural Production is Gradually Declining)

English Summary: Some special varieties of bel flower and its cultivation method
Published on: 01 February 2021, 10:00 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)