এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 26 August, 2021 1:39 PM IST
Tamarind tree (image credit- Google)

তেতুঁল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল | তেতুঁল পছন্দ করেননা এমন মানুষ খুবই কম আছেন | কাঁচা তেঁতুল খেতে টক, পাকা ফল টক-মিষ্টির এক ভিন্ন স্বাদ। তেঁতুল খাবারে স্বাদ বাড়ায়। আচার, সস, জ্যাম ইত্যাদি তৈরিতে তেতুঁল কাজে লাগে | তবে, তেতুঁলের ভেষজগুণও অনেক | তেঁতুল সাধারণত দীর্ঘজীবী বৃক্ষ। কয়েকশত বছর ধরে বেঁচে থাকে।  আকারেও বেশ বড় হয়। দেখতে খুবই সুন্দর। অধিক শাখা-প্রশাখা থাকায় প্রতিকূলতার সহ্য ক্ষমতা রয়েছে যথেষ্ঠ। গাছের উচ্চতা সাধারণত ৭০ থেকে ৮০ ফুট হয়ে থাকে | এই তেতুঁল চাষ (Tamarind cultivation) খুব সহজেই করা যায়;

বংশবিস্তার:

সাধারণত বীজ দিয়ে বংশ বিস্তার হয়। গুটি কলমের মাধ্যমেও করা সম্ভব। বীজ দিয়ে সহজেই চারা তৈরি করা যায়। বপনের আগে বীজ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা দরকার। এরপর মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ পলিব্যাগে ভর্তি করে সেখানে বপন করতে হয়। এ কাজ অতিরিক্ত বর্ষা এবং প্রচ- শীত ব্যতীত অন্য যে কোনো সময় করা যেতে পারে। চারার বয়স ২/৩ মাস হলে মূল জমিতে লাগানো যায়। তেঁতুলের অনুর্বর মাটিও জন্মে। কিন্তু উর্বর মাটিতে কাক্সিক্ষত ফলন পাওয়া যায়

চাষের সময়:

বর্ষাকাল রোপণের উপযুক্ত সময়।

রোপণ পদ্ধতি(Plantation):

চারা রোপণের জন্যে একটি উপযুক্ত গর্ত তৈরি করতে হয়। এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা হবে  ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি করে। গাছ হতে গাছের দূরত্ব ২৫-২৬ ফুট। গর্তপ্রতি যেসব জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগ করতে হবে তা হলো; গোবর ২০ কেজি, টিএসপি ২০০ গ্রাম এবং এমওপি  ২৫০ গ্রাম করে। এসব সার দেয়ার ২৫-৩০ দিন পর চারা লাগাতে হবে।

আরও পড়ুন - Watermelon Farming - জানুন আধুনিক পদ্ধতিতে তরমুজ চাষের কৌশল

গাছ লাগানোর ১ বছর পর গাছপ্রতি ১০-১৫ কেজি জৈব সার; রাসায়নিক সারের মধ্যে ইউরিয়া ও টিএসপি ২০০-৩০০ গ্রাম করে, তার সাথে ৩০০-৪০০ গ্রাম হিসেবে এমওপি প্রয়োগ করতে হয়। এসব সার ২ ভাগ করে বছরে ২ বার; ১ বার বর্ষার আগে মার্চ মাসে, আরেকবার বর্ষার পর সেপ্টেম্বর মাসে দিতে হবে |

পরিচর্যা:

দুপুরবেলায় মাটিতে গাছের ছায়া যতটুকু পড়ে ততোটুকু স্থানে ৬ ইঞ্চি গভীর করে ভালোভাবে কুপিয়ে সার দেওয়া উত্তম। অথবা গাছের গোড়া থেকে  ২/৩ ফুট বাদ দিয়ে এরপর ৬/৭ ফুট পরিমাণ জমি বৃত্তাকারে অনুরূপভাবে কুপিয়ে দিলেও হবে। সার প্রয়োগের পর হালকা সেচ দিতে হয়। গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে খাবারের চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতি বছর সারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। খরার কারণে রসের অভাব দেখা দিতে পারে। সেজন্য পরিমাণমতো সেচ দিতে হবে। আগাছা খাবারের ভাগ বসায়। এছাড়া ক্ষতিকর পোকার আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। তাই গাছের গোড়ায় কিংবা আশপাশে আগাছামুক্ত রাখতে হবে। গাছের মরা ডাল কিংবা অবাঞ্ছিত অংশ ছেঁটে দিতে হয়।

ডালের সংখ্যা অতিরিক্ত হলে কিছু কেটে পাতলা করতে হবে যেন, পর্যাপ্ত আলো বাতাস পাওয়া যায়। ছাঁটাইয়ের কাজ শীত মৌসুমে করতে হয়। গরু-ছাগলের আক্রমণ হতে রেহাই পাওয়ার জন্য চারা অবস্থায় গাছের চারদিকে বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তেঁতুলে সাধারণত রোগপোকা হয় না। তবে বার্ষাকালে কখনো কখনো ছত্রকের আক্রমণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে যে কোনো ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে।

ফল সংগ্রহ:

বীজ থেকে উৎপাদিত গাছ রোপণের ৭/৮ বছর পর থেকে ফল দেওয়া শুরু করে। কলমের গাছে সময় লাগে ২/৩ বছর। পরিণত বয়সে গাছপ্রতি গড় ফলন প্রায় ৩০০ কেজি।

আরও পড়ুন - Kashmiri Apple Kul - অনুর্বর জমিতে ও কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ , জেনে নিন চাষের পদ্ধতি

English Summary: Tamarind Farming Guide: Learn more about tamarind cultivation methods
Published on: 26 August 2021, 01:39 IST