ভারতে প্রায় বেশিরভাগ রাজ্যেই কচুর দেখা মেলে৷ শুধু সবজি হিসেবেই নয়, অনেকক্ষেত্রে এর গাছ সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কারণেও অফিসে, বাড়িতে রাখা হয়৷ খাবার উপযোগী কচুর মধ্যে কয়েকটি জাত হল- পঞ্চমুখী কচু, দুধকচু, মুখীকচু, ওলকচু, মানকচু, পানিকচু, শোলাকচু প্রভৃতি। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই এর দেখা মেলে৷
কচু রাস্তা, বন জঙ্গলে পরিচর্যা ছাড়াই বেড়ে ওঠে৷ কিন্তু এগুলির মধ্যে বুনো কচুও বিদ্যমান যা খাওয়ার উপযোগী নয়৷ তবে সঠিক পদ্ধতিতে এর চাষ করে বিক্রি করতে পারলে এই কচুই আপনাকে লাভের মুখ দেখাবে৷ প্রজাতিভেদে কচুর মূল, লতি, পাতা ও ডাটা সবকিছুই খাওয়া হয়৷
এই কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বিদ্যমান যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে৷ বিশেষ করে বলা হয়, রাতকানা রোগীদের জন্য কচু অত্যন্ত উপকারী৷ তবে অনেকের কচুতে অ্যালার্জির ধাত থাকে৷ যাদের কচু খেলে সমস্যা হয়, তাদের এটি এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো৷
জলবায়ু-
এই কচু চাষের জন্য আর্দ্র জলবায়ু হলে ভালো হয়৷ গ্রীষ্ম এবং বর্ষায় সহজেই এর ভালো ফলন পেতে পারেন৷ উত্তর ভারতের জলবায়ুকে কচু চাষের জন্য আদর্শ মনে করা হয়৷
মাটি এবং বপনের সময়-
কচু চাষের জন্য বেলে-দোআঁশ বা এঁটেল মাটি সবথেকে ভালো৷ তবে চাষের আগে মাটি প্রথমে তৈরি করে নিতে হবে৷ দুই থেকে তিন বার মাটি কর্ষণ করতে হবে৷ কচু চাষের আগে গোবর সার প্রয়োগ করে মাটিকে প্রস্তুত করে নিতে হবে৷ বপনের ১৫-২০ দিন আগে এই সার মাটিতে মিশিয়ে নিন৷ খারিফের মরসুমে, জুন থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি এর চাষ করতে হবে৷
সেচকার্য-
গরমের সময় ৪ দিন অন্তর অন্তর সেচকার্য করা যেতে পারে কচুর ক্ষেতে৷ আবার বর্ষাকালে কচু চাষের জন্য সেচের প্রয়োজন হয় না৷ কচু চাষের জন্য খুব বেশি পরিচর্যার বা পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না৷
কচু সংগ্রহ-
এর পাতা একটু হলুদ হলুদ হয়ে এলে এটি সংগ্রহ করা যেতে পারে৷ এটি সংগ্রহের পর তা শুকনো স্থানে রাখা যেতে পারে৷ রোপনের ২ থেকে ৭ মাস পর্যন্ত এর লতি সংগ্রহ করতে পারেন৷
এভাবে খুব কম খরচে কয়েকটি নিয়ম মেনে এর চাষ করতে পারলে মাসের শেষ এই কচুই আপনাকে উপার্জনের পথ দেখাবে৷
আরও পড়ুন- ব্রাহ্মী চাষে (Waterhyssop Farming) এই কৃষকের সাফল্য উৎসাহিত করবে আপনাকেও