আম গাছের সুষম বৃদ্ধি এবং অধিক ফলনের জন্য প্রতি বছর সার ব্যবহার একান্ত দরকার। ফলন্ত গাছের বয়স, আকার এবং মাটির উর্বরতার উপর সারের পরিমান ঠিক করতে হয়। মাটিতে জৈব সার দেয়া ভাল, কারণ তাতে মাটির যথেষ্ট উন্নতি সাধন হয় এবং গাছের ফল ধারন ক্ষমতা বাড়ে। ২০ বছর বা এর অধিক বয়সের একটি আম গাছে ৫০ কেজি জৈব সার, ২ কেজি ইউরিয়া, ১ কেজি টিএসপি, ৫০০ গ্রাম জিপসাম, এবং ২৫ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট সার প্রয়োগ করতে হবে।
গাছের বয়স কম হলে সারের মাত্রাও কমাতে হবে। সমড় সার ২ কিস্ট্রিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিল্পি তে অর্ধেক সার বৈশাখ-জৈষ্ঠ মাসে এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকী সার আশ্বিন মাসে প্রয়োগ করতে হবে। মাটিতে রসের অভাব থাকলে সার দেওয়ার সাথে সাথে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। গাছের খাদ্য আহরনকারী শিকড়গুলি গাছের কান্ড বা গোড়া থেকে দূরে থাকে তাই ছোট জাতের গাছের গোড়া থেকে ৩০-৫০ মিটার দূরে, মাঝারী গাছের ক্ষেত্রে ২- ৩ মিটার দূরে এবং বড় গাছের ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী স্থানে সার প্রয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ হলুদ চাষের সময় কৃষকদের এই বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত, ফলন হবে বাম্পার
সার দুই ভাবে দেওয়া যায়। ফলন্ত গাছের কান্ড থেকে ২ মিটার দূরত্বে ৩০ সেঃ মিঃ গ্রন্থ ও ১৫-২০ সেঃ মিঃ গভীর করে চক্রাকারে নালা কেটে নালার ভিতর সার ও জৈব সার মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে অথবা দূপুর বেলা যতটুকু স্থানে গাছের ছায়া পড়ে ততটুকু স্থাসে সার ছিটিয়ে কোদাল দ্বারা মাটি কুপিয়ে বা চাষ দিয়ে ভালভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ শুরু হচ্ছে জাতীয় উদ্যানপালন মেলা, বাগান মালিকদের জন্য বিশেষ কী কী থাকছে ?
আগাছা দমন
আগাছা আম গাছের খাদ্যের ভাগ বসায়। এ জন্য আম গাছের গোড়ায় যাতে আগাস্থ্য জন্মাতে না পারে সে জন্য প্রতি বছর বাগানে লাঙ্গলের সাহায্যে চাষের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথম দফা বর্ষা আরম্ভ হওয়ার আগে এবং দ্বিতীয় দফা বর্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পরই জমিতে চাষ দিয়ে অতি সহজেই আগাছা দমন করা যায়। আম বাগানে চাষ দিলে চাষকৃত আগাছা পচে জৈব সারের কাজ করে। তাছাড়া রোগ ও পোকামাড় এর আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য ফলবান বৃক্ষের নীচের জমি সর্বদা আগাছা মুক্ত রাকতে হবে।
ফলবান গাছের যত্ন নিতে হবে যেভাবে
আম গাছের সুষম বৃদ্ধি এবং অধিক ফলনের জন্য প্রতি বছর সার ব্যবহার একান্ত দরকার। ফলন্ত গাছের বাস, আকার এবং মাটির উর্বরতার উপর সারের পরিমান ঠিক করতে হয়। মাটিতে জৈবসার দেওয়া ভাল কারন তারে জমির যথেষ্ট উন্নতি সাধন হয় এবং গাছের ফলধারন ক্ষমতা বাড়ে। ২০ বছর বা এর অধিক বয়সের একটি আমগাছে ৫০ কেজি জৈবসার, ২ কেজি ইউরিয়া, ১ কেজি টিএসপি, ৫০০ গ্রাম এমপি, ৫০০ গ্রাম জিপসাম এবং ২৫ গ্রাম জিয় সালফেট সার প্রয়োগ করতে হবে।
গাছের বয়স কম হলে সারের মাত্রাও কমাতে হবে। সমস্ত সার ২ কিস্তিতে প্রয়োগ করা ভাল। তবে সম্পূর্ণ সার একবারেও দেওয়া যেতে পারে। প্রথম কিস্তিতে অর্ধেক সার বৈশ্যাখ- জৈাত মাংসে এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকী সার আশ্বিন মাসে প্রয়োগ করতে হবে। মাটিতে রসের অভাব থাকলে সার দেওয়ায় সাথে সাথে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।