'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 6 July, 2020 4:49 PM IST

বর্ষায় চাষিভাইদের জন্য বরবটির চাষ (Cowpea Cultivation) লাভজনক হতে পারে৷ বর্ষায় সাধারণত শাকসবজির অনেক ক্ষতি হয়, কিন্তু বরবটি লাভের মুখ দেখাতে পারে৷ দেশের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, ছত্তিশগঢ় সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই বরবটির চাষ হয়ে থাকে৷

কৃষকেরা নিজের রাজ্যের জলবায়ু অনুযায়ী এই বরবটির চাষ (Cowpea Cultivation) করে থাকেন৷ কিন্তু উত্তরপ্রদেশে বর্ষার (Monsoon Cultivation) আগমনে, বিশেষ করে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এর চাষ শুরু হয়ে যায়৷ দুই ধরণের বরবটি বেশিরভাগ চাষ করা হয়ে থাকে৷ একটি দৈর্ঘ্যে ছোট, এবং অপরটি দৈর্ঘ্যে বড়, কিছুটা লতানো প্রকৃতির৷ দ্বিতীয়টিই বর্ষাকালে বেশি চাষ করা হয়৷ এর জন্য মাচা তৈরির প্রয়োজন হয়৷

লতানো বরবটির চাষ-

এই ধরণের বরবটির চাষ (Cowpea Cultivation) জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে যায়৷ বপনের সময় এদের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রাখতে হয়৷ চারার দূরত্ব ১৫ সেন্টিমিটার রাখা প্রয়োজন৷ এই চারা রোপনের প্রায় ৬০দিন পরে উৎপাদন হতে শুরু করে৷ দু মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়৷ সপ্তাহে ২ বার আপনি বরবটি সংগ্রহ করতে পারবেন৷ কৃষকদের মতে বরবটি চাষে জমিতে রাইজোবিয়াম ব্যাকটিরিয়া পাওয়া যায়, যা জমিতে নাইট্রোজেনের মাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে৷ এতে চাষের জমির উর্বরতা (Fertility of Land) উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে৷

কৃষকভাইয়েরা যদি এক একর চাষের জমিতে বরবটি চাষ করে, তাহলে এর থেকে প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়৷ উল্লেখ্য, এক একর থেকে ৪০-৫০ ক্যুইন্টাল পর্যন্ত বরবটি পাওয়া যেতে পারে৷ ৩হাজার থেকে ১ হাজার টাকা প্রতি ক্যুইন্টাল রোজগার করতে পারেন কৃষকেরা৷ এভাবে প্রতি এক একর জমি থেকে প্রচুর উপার্জন করতে পারবেন তারা৷

তবে এই চাষে গাছে কীটের উপদ্রব হতে পারে, যা ফসল নষ্ট করে দিতে পারে৷ তাই এর উপদ্রব যাতে না হয় তার জন্য নিম তেল ছড়িয়ে দিতে পারেন৷ এছাড়া রাসায়নিক ওষুধ মোনোপোটোফস ৬২৫ মিলিগ্রাম প্রতি হেক্টরে ছড়ানো যেতে পারে৷

কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, বরবটি চাষে জমিতে যেন জল না জমে যায়৷ এতে রাইজোবিয়াম ব্যাকটিরিয়ার ওপর প্রভাব পড়তে পারে যা জমির উর্বরতা বৃদ্ধিকে বাধা প্রদান করতে পারে৷ ফসলের ভালো ফলনের সম্ভাবনাও হ্রাস পেতে থাকে৷ জৈব পদ্ধতিতে সমগ্র বিষয়টি করলে তা সবদিক থেকেই ভালো৷

 

আরও পড়ুন-  শ্রী পদ্ধতিতে (Sri Method- aman paddy) আমন ধান চাষে দ্বিগুণ লাভ

খারিফ মরসুমে স্বল্প মেয়াদী ফসল (kharif season-Babycorn) বেবীকর্নের চাষ

English Summary: This cowpea cultivation will be profitable in monsoon
Published on: 12 June 2020, 04:15 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)