Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 9 May, 2020 5:19 PM IST

ক্যাপসিকাম, কম বেশি প্রায় সকলেই খেতে পছন্দ করেন৷ এর গুণ কিন্তু অপরিসীম৷ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হোক বা রান্না অথবা স্যালাড, সবক্ষেত্রেই এর ভূমিকা অপরিসীম৷ রসুন, আদার মতো এই ক্যাপসিকামও কিন্তু সহজেই বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় টবে চাষ করতে পারবেন৷ চাইলে বিক্রিও করতে পারেন৷ তবে চাষের পদ্ধতি জানার আগে জেনে নিন এর উপকারিতা কতটা৷

ক্যাপসিকাম সবুজ, লাল, হলুদ নানা ধরণের হয়ে থাকে৷ ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন, ৪.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, সহ ভিটামিন ই, কে, বি-৬, ফলিক অ্যাসিড বিদ্যমান৷ থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার, জিংক প্রভৃতিও৷ ক্যাপসিকাম ক্যান্সার প্রতিরোধ থেকে শুরু করে হজমের সমস্যা, আন্ত্রিকের সমস্যা, ব্যাথা মুক্তি, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে৷ রক্তাল্পতার সমস্যাও কমায়৷ এতে থাকা ভিটামিন এ, সি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে৷ মাইগ্রেন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতেও ক্যাপসিকাম কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্টের জন্য ভালো এবং হাড়কে মজবুত করতে এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য৷

এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বাড়িতেই ফলানো সম্ভব এই ক্যাপসিকাম-

বেলে দোআঁশ মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উপযুক্ত। তবে সেই মাটি অবশ্যই হতে হবে ঝুরঝুরে৷ সব মরসুমেই এখন ক্যাপসিকাম চাষ সম্ভব৷ তবে ভাদ্র ও মাঘ মাসে বীজ বপন করলে ভালো ফলনের সম্ভাবনা বেশি থাকে৷

বাজারে বা নার্সারিতে বিভিন্ন জাতের ক্যাপসিকামের বীজ পাওয়া যায়। কয়েকটি উন্নত মানের জাত হল ক্যালিফোর্নিয়া ওয়াণ্ডার, ইয়োলো ওয়াণ্ডার এবং আর হাইব্রিডের মধ্যে ম্যানহাটন, অনুপম ভারত, রতন, মহাভারত, মানহেম-৩০১৯, মানহেম-৩০২০ প্রভৃতি৷ এছাড়াও আরও বহু প্রজাতি রয়েছে।

টবের দোআঁশ মাটিতে এক তৃতীয়াংশ জৈব সার মিশিয়ে নিতে হবে৷ তবে প্রায় সব ধরণের মাটিতেই এর চাষ সম্ভব৷ টবের নীচে ছিদ্র করে দিতে হবে অতিরিক্ত জল নিষ্কাশনের জন্য৷ মোটামুটি এক মাস বয়সের চারা টবে রোপনের জন্য উপযুক্ত৷ ক্যাপসিকাম চাষে ভালোরকম আলো, বাতাস প্রয়োজন হয় চারা রোপনের ক্ষেত্রে রোদ কমে এলেই তবেই তা রোপন করতে হবে, না হলে অতিরিক্ত সৌরতাপে চারার ক্ষতি হতে পারে৷ চারা রোপনের ২০ দিন পর পর পর এক চামচ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে এবং প্রতিদিন পরিমিত জল দিতে থাকতে হবে৷ কারণ মাটি শুকিয়ে গেলে চলবে না৷

চারা একটু বড় হলে খুঁটি দিতে হবে যাতে হেলে বা ঢলে না পড়ে যায়৷ এবং অবশ্যই আগাছা সাবধানে উপড়ে ফেলে দিতে হবে৷ চারা বসানোর প্রায় দু মাস পর থেকেই ফলন পাওয়া যায় পরবর্তী এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত৷ বাজারে ৮০-১৫০টাকা পর্যন্ত কেজি ধরে বিক্রি হয়৷ অনেকেই কম পরিশ্রমে বাড়িতে ক্যাপসিকাম চাষের দিকে ঝুঁকছেন৷

তবে মনে রাখতে হবে ক্যাপসিকামে পাতায় রোগের উপদ্রব হতে পারে৷ পাতা হলুদ হয়ে কুঁকড়ে গেলে সেই গাছ দ্রুত ধ্বংস করে দিতে হবে৷ জাবপোকা দলবদ্ধভাবে গাছের পাতার রস চুষে খায়৷ ফলে পাতা কুঁকড়ে যায়৷ এর হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম বীজের দ্রবণ বা সাবান গোলা জল (প্রতি ১০ লিটারে ২ চা চামচ গুঁড়ো সাবান) স্প্রে করা যেতে পারে৷ অনেক সময় পাতায় কালো কালো দাগ দেখা যায় যা ধীরে ধীরে ক্যাপসিকামের ফলন কমিয়ে গাছ নষ্ট করে দেয়৷ এই আক্রমণ রোধ করতে, প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম ব্যাভিস্টিন গুলে ১৫ দিন পর পর স্প্রে করা যেতে পারে৷

বর্ষা চ্যাটার্জি

English Summary: Tips to grow capsicum easily at home
Published on: 09 May 2020, 05:19 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)