এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 19 October, 2021 12:15 PM IST
Tomato tree (image credit- Google)

শীতকালীন টমেটো চাষের জন্য কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সপ্তাহ (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ ) পর্যন্ত বীজতলায় বপনের উপযুক্ত সময়। এই সময়ের মধ্যে বীজ বপন করতে হবে।

মাটি(Soil):

আমাদের দেশের প্রায় সব ধরনের মাটিতেই টমেটো চাষ করা যায়। তবে বেলে দোঁ-আশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। জমি চাষ শেষ হলে ভূমি হতে ১০-১৫ সে.মি. উঁচু বেড তৈরি করে বেডের চারপাশে ড্রেনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। চারা লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিতে হবে। সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ৫০ সে.মি. এবং চারা হতে চারার দূরত্ব হবে ৫০ সে.মি.।

জাত:

ভালো জাতের টমেটোর বীজ বপন করতে হবে। এ জাতের মধ্যে রয়েছে বাহার, বিনা টমেটো-৪, বিনা টমেটো-৫, বারি টমেটো-৩, ৪। অন্যদিকে হাইব্রিড এর মধ্যে সবল, মিন্টু ও বারি টমেটো-৫ বেশ ভালো জাতের। এই জাতের টমেটোর বীজের গাছ অধিক ফলন দিচ্ছে।

জমি তৈরী:

জমিতে তিন চারটি চাষ ও মই দিয়ে সাধারণভাবে জমি তৈরি করতে হয়। শেষ চাষের আগে নির্ধারিত পরিমাণ গোবর সারের অর্ধেক এবং পুরো টিএসপি সার ছিটিয়ে দিয়ে পুনরায় চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর চারা লাগানোর সময় গোড়ায় মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।

সার প্রয়োগ:

ইউরিয়া ও পটাশ সমান দুই ভাগ করে চারা লাগানোর ১৫ দিন এবং ৩৫ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে। একর প্রতি ইউরিয়া ৮০-১০০ কেজি, টিএসপি ৬০-৮০ কেজি, এমপি ৬৮-৯২ কেজি, জিপসাম ২০-৩০ কেজি, বোরন ১-২ কেজি এবং ৪ টন গোবর প্রয়োগ করতে হবে।

সেচ:

শুষ্ক মৌসুমে চাষ করলে পানি সেচ দেয়া প্রয়োজন। ফসল ও মাটির অবস্থা বিবেচনা করে তিনবার সেচ দেয়া যেতে পারে। জমির অবস্থা বুঝে হালকাভাবে ঝরনা দিয়ে গাছে পানি দিতে হবে। চারা লাগানোর পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানি দিয়ে জমির মাটি ঝুরঝুর করে দিতে হবে এবং হালকাভাবে আগাছাগুলো পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। ভালো ফলন ও নিখুঁত ফল পেতে টমেটো গাছে ঠেকনা দেয় প্রয়োজন।

পাশাপাশি দুইটি সারির মধ্যে ‘অ আকৃতির বাঁশের ফ্রেম তৈরি করে দিলে টমোটোর ফলন বৃদ্ধি পায়। গাছ যাতে অত্যধিক ঝোপালো না হয় সে জন্য প্রয়োজনে অতিরিক্ত ডালপালা ছাঁটাই করা উচিত। প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির সার প্রয়োগের আগে পার্শ্বকুশি ছাঁটাই করে দিতে হয়। এতে পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ কম হয় এবং ফলের আকার ও ওজন বৃদ্ধি পায়। নিড়ানি দিয়ে জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।

টমেটোর ভালো ফলনের জন্য রোগ ও পোকামাকড় দমনের দিকেও নজর দিতে হবে। টমেটো ছিদ্রকারী পোকার জন্য ৫ শতাংশ জমিতে সবিক্রন ৪২৫ ইসি ২০ মি.লি. ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেতে কৃমি রোগ, গোড়া পচা রোগ দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে জমিতে চারা লাগানোর আগে ফুরাডন-৩ জি দিয়ে মাটি শোধন করে নিলে এ সব রোগের প্রকোপ কমে যায়। ঠিকমত পরিচর্যা করলে হেক্টরপ্রতি প্রায় ৭০- ৯০ টন পর্যন্ত ফলন হতে পারে।

জমি থেকে পাকা ফল তুলে ঘরে ২-৩ দিন রাখতে হবে যাতে ফলগুলো নরম হয়। নরম হওয়ার পর দুই ভাগে কেটে বীজগুলো একটি শুকনো কাচের অথবা প্লাস্টিকের পাত্রে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর বীজগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে কাচ বা প্লাস্টিকের পাত্রে মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে।

ফসল সংগ্রহ:

জাতভেদে চারা লাগানোর ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পাকা টমেটো সংগ্রহ আরম্ভ করা যায়। টমেটো পাকা ও কাঁচা উভয় অবস্থাতেই সংগ্রহ করা যায়। প্রতি গাছ থেকে সাত থেকে আটবার টমেটো সংগ্রহ করা যায়। ফলের নিচের দিকে একটু লালচে ভাব দেখা দিলে ফসল সংগ্রহের উপযোগী হয়। জাতভেদে টমেটোর ফলন শতাংশে ৮০ থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এভাবে নিয়ম মেনে টমেটো চাষ করলে বেশ ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন - Elephant foot yam farming: জেনে নিন ওল কচু চাষ করে কিভাবে লাভবান হয়ে উঠবেন

English Summary: Tomato farming in winter: Here's how to make a living by growing winter tomatoes
Published on: 19 October 2021, 12:03 IST