Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 8 July, 2021 4:04 PM IST
Turnip cultivation (image credit- Google)

শালগম এক পরিচিত পুষ্টিকর সবজি | এই সব্জি সাধারণত মাটির নিচে জন্মায় | এটা এক প্রকার রূপান্তরিত মূল এবং সহজলভ্য এই সবজিটি খুব সহজে অনায়াসে চাষ করা যায় | এই নিবন্ধে শালগম চাষের  (Turnip farming) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

মাটি ও জলবায়ু(Soil and Climate):

এটি নতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর উপযোগী ফসল | ১৫-২০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় এটি সবচেয়ে ভাল জন্মায় | গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য আলোর প্রাচুর্য প্রয়োজন | উচ্চতাপ মাত্রায় স্বাদ কমে যায় এবং মুল দ্রুত আঁশময় হয়ে উঠে | অধিক বৃষ্টিপাত শালগমের জন্য ক্ষতিকর | হালকা দো-আঁশ মাটি  শালগমের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী |

চাষের সময়:

রবি মৌসুমে শালগমের চাষ সম্ভব৷ বৃষ্টির মৌসুম শেষ হবার পর ফসল লাগানো উচিত৷ চারা কচি থাকা অবস্থায় বৃষ্টি হলে ফসল সহজেই নষ্ট হয়৷আর্শ্বিন-কার্তিক (নভেম্বরের প্রথম ভাগ থেকে ডিসেম্বরের শেষ ভাগ) বীজ বোনার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় |

বীজ বপন(Seed):

সরাসরি বীজ বপন করে শালগমের চাষ হয় | কিন্তু কৃষকরা অনেক সময় চারা রোপণ করে শালগম চাষ করে থাকেন ৷ রোপণের সময় প্রধান শিকড় ভেঙে গেলে স্ফীত মূলের নিম্নাংশ শাখায়িত হবার সম্ভাবনা থেকে যায় | তাছাড়া, আধুনিক কিছু কিছু জাত বীজ বোনার ৪০-৫০ দিন পর সংগ্রহের উপযোগী হয়৷ সারিতে বীজ বুনলে বা চারা রোপণ করলে সারি থেকে সারির দূরত্ব হতে হবে ৩০ সেন্টিমিটার বা ১ ফুট৷ প্রায় ১ মাসের চারারোপণ করা যায়৷ চারা রোপণের ক্ষেত্রে চারা থেকে চারা ২০সেন্টিমিটার বা ৮ ইঞ্চিদূরত্বে রোপণ করতে হবে৷

আরও পড়ুন -Black Radish Cultivation: জেনে নিন কৃষ্ণ মুলো চাষ পদ্ধতি ও তার পরিচর্যা

বীজের হার:

সরাসরি বীজ বুনলে একর প্রতি ১ কেজি বীজ প্রয়োজন এবং চারা রোপন করলে একর প্রতি ২৪৫ গ্রান প্রয়োজন |

সার প্রয়োগ(Fertilizer):

শালগমের জন্য হেক্টর প্রতি ১০ টন গোবর, ১৫০ কেজি ইউরিয়া ১২৫ কেজি টিএসপি এবং ১৭৫কেজি মিউরেট অব পটাশ প্রয়োগ করা হয় ৷ আগাম জাতের বেলায় সব সার ফসল লাগাবার সময় মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে, নাবি জাতের বেলায় ইউরিয়া ও পটাশের অর্ধেক উপরি প্রয়োগ করা ভাল |

আগাম জাতের বেলায় সব সার ফসল লাগাবার সময় মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে, নাবি জাতের বেলায় ইউরিয়া ও পটাশের অর্ধেক বাদে বাকি সব সার ফসল লাগাবার সময় মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে এবং ইউরিয়া ও পটাশের বাকি অর্ধেক চারা গজানোর ১৫দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে৷

রোগ ও প্রতিকার(Disease management system):

কাটুই পোকা:

কাটুই পোকার কীড়া চারা গাছ কেটে নষ্ট করে দেয়৷ এই পোকা দমনের জন্য ৫ সের জলে চা-চামচের দেড় চা চামচ পরিমাণ ডায়াজিনন মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে৷

জাব পোকা ও শুয়োপোকা:

জাব পোকা ও শুয়োপোকা গাছের পাতা খেয়ে ফেলে৷ এই পোকা দমনের জন্য ৫ শতক জমিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশকের ৫ চা-চামচ (২৫ মিঃ লিঃ) ১০ সের জলের সঙ্গে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে হবে৷ ক্ষেতে রাসয়নিক ঔষধ দেবার অন্তত ৭ দিন পর্যন্ত ঐ ক্ষেতের ফসল বিক্রি বা খাওয়া যাবে না৷

ফসল সংগ্রহ ও লাভ:

বীজ বোনার ৪৫-৬০ দিনের মধ্যে শালগম খাওয়ার উপযুক্ত হয়৷ এরপর মূল শক্ত ও আঁশময় হয়ে যায়৷ স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়৷ শালগমের ফলন এক শতকে-১০০-১২০ কেজি, একর-প্রতি-১০-১২ টন, হেক্টর প্রতি-২৫-৩০ টন হয়ে থাকে | এগুলি বাজারজাত করলে মোটা টাকার লাভ হয়ে থাকে |

নিবন্ধ: রায়না ঘোষ

আরও পড়ুন -Mandarin Farming: কিভাবে কমলালেবু চাষ করবেন? শিখে নিন সম্পূর্ণ পদ্ধতি

English Summary: Turnip Cultivation: Cultivate turnips to earn more
Published on: 08 July 2021, 04:04 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)