আপনি যদি স্বল্প ব্যয় করে অধিক লাভ করতে চান, তবে সিল্ক উত্পাদন আপনার পক্ষে একটি ভাল ব্যবসা হয়ে উঠতে পারে। এর জন্য আপনাকে মূলত সাদা তুঁত গাছ লাগাতে হবে। কারণ রেশম কীট এই গাছে সহজে জন্মাতে পারে। আমাদের দেশের বেশ কিছু কৃষক এই ব্যবসা করে ভাল অর্থ উপার্জন করছেন। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং মধ্য প্রদেশে সিল্কের বাণিজ্য সমৃদ্ধিলাভ করছে।
রেশম কীট পালন –
রেশম কীট দীর্ঘজীবি নয়, এরা মাত্র দুই - তিন দিনের মধ্যে মারা যায়। তবে এই ৩ দিনের মধ্যেই, মহিলা কীট ৩০০-৪০০ পর্যন্ত ডিম দেয় এবং প্রতিটি ডিম প্রায় ১০ দিনের মধ্যে একটি ছোট লার্ভায় (ক্যাটারপিলার) পরিণত হয়। ৪০ দিনের মধ্যে, এগুলির মাথা থেকে এক ধরণের লালাক্ষরণ শুরু হয়, যার থেকে রেশম সুতা তৈরি হয়। এই দ্রবণটি সাধারণত কোয়া বা কোকুন নামেও পরিচিত। বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরে, এটি শুকিয়ে যায় এবং রেশম সুতায় পরিণত হয়, যার দৈর্ঘ্য এক হাজার মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
রেশম চাষে সরকারী সহায়তা -
কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারই যে সকল কৃষকরা রেশম কীট পালন করেন, তাদের সহায়তা করছেন। এক একর জমিতে তুঁত গাছ চাষে, আগাছা নিয়ন্ত্রণ, সেচ এবং উদ্ভিদের অন্যান্য ব্যবস্থাপনার জন্য ১৪.৫ হাজার টাকার সহায়তা সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা হচ্ছে। এর সাথে তুঁত উদ্ভিদ চাষের জন্য স্থান এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও সরকার থেকে দেওয়া হচ্ছে। ৬৫ হাজার টাকা থাকলেই কৃষক এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
চাষে সতর্কতা –
- সেরিকালচারে শ্রমিকদের বদ্ধ কক্ষে কাজ করতে হয়। এর ফলে কর্মীদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- শ্রমিকরা খালি হাতে মৃত কীটগুলি পরিচালনা করেন। এর ফলে বিভিন্ন অসুস্থতা এবং সংক্রমণ হতে পারে।
- কোকুন থেকে রেশম সুতা পৃথক করার জন্য গরম জলে এগুলিকে রাখা হয়। শ্রমিকদের এই জল পরীক্ষা করতে হয় রেশম সুতা ঠিক মতো পৃথক হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য। জলে মৃত কীট থেকে ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকে।
অনলাইন আবেদনের জন্য http://www.eresham.mp.gov.in/ এই ওয়েবসাইটে লগ ইন করুন।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)