আজ আমি আপনাদের পৃথিবীর এমন তিনজন ধনী ব্যক্তিদের বিষয়ে জানাবো যাদের ২০১৮ সালটি তাঁদের আয়ের দিক থেকে খুব ভালো একটি বছর হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। ২০১৮ সমস্ত ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটু উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে গেছে, কারন ব্রেকজিট থেকে আরম্ভ করে আমেরিকা-চীন ব্যবসায়ীক দ্বন্দ পুরো পৃথিবীর শেয়ার মার্কেটকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের অনেক বড় বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে, আবার অনেক বড় বড় উদ্যোগপতিদের কাছে এই বৎসর খুবই ভালো কেটেছে।
জেফ বেজোস
আমাজনের সিইও জেফ বেজোস-এর জন্য ২০১৮ সাল অনেক লাভজনক হয়েছে কারণ আমাজন এই বৎসর ভারত ও তুরস্কের বাজারে বেশ সুবিধাজনক স্থান করে নিয়েছে, এবং বিগত বৎসরগুলির তুলনায় এই বৎসর অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করেছে। আমাজন এখন নিউইয়র্ক ও ভার্জিনিয়ার মতো বিখ্যাত শহরে তাদের প্রধান কার্যালয় বানানোর ঘোষণা পর্যন্ত করে দিয়েছে। আমাজনের এই বৎসরের শেয়ার ভ্যালু ২০১৭ এর তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি ছিলো। জেফ বেজোস তাঁর সম্পত্তির অংশ হিসেবে এই বৎসর ২৯.৯ হাজার কোটি ডলার এর সযুক্তি করতে সক্ষম হয়েছেন, বর্তমানে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ১২৬.২ হাজার কোটি ডলার।
মুকেশ অম্বানি
এই বৎসর ভারতের সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুকেশ অম্বানীর কাছেও খুব ভালো একটি বছর ছিলো। উনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিকে আর উপরে পৌঁছে দিয়েছেন। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির শেয়ারেও এই বৎসর প্রায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। অম্বানী ৩৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ভারতে জিও টেলিকম কোম্পানির শুরু করেছেন এবং ভারতের মোট ২৫ কোটির বেশি মানুষকে তাঁর টেলিকমের সাথে সংযুক্ত করতে পেরেছেন। অম্বানী ২০১৮ তে তাঁর মুনাফা ৩ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত বাড়াতে পেরেছেন এবং বর্তমানে তাঁর মোট সম্পত্তি ৪৪.৪ হাজার কোটি ডলার।
বিল গেটস
আমেরিকার কোটিপতিদের মধ্যে সবথেকে ধনী ব্যক্তি বিল গেটসের কাছে এই বৎসর অতটা ভালো হয় নি কারণ জেফ বেজোসের সাথে বৎসরের শুরু থেকেই জোর টক্কর চলেছিল, এবং শেষ পর্যন্ত নীট মুনাফার ক্ষেত্রেও তিনি বেজোসের থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়েন, কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও মাইক্রোসফটের শেয়ারে বেশ তেজিভাব দেখা গেছে, যাতে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনো পর্যন্ত তাঁর নীট লাভ এই বৎসরে রেকর্দ হয়েছে ২.৯ হাজার কোটি, বর্তমানে বিল গেটসের সম্পত্তির পরিমাণ ৯৩.৯ হাজার কোটি ডলার।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)