পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) ক্যাপসিকাম চাষে ফলন ভালো, লাভ নেই! সরকারি সাহায্যের অভাবে ক্ষোভে চাষিরা
Updated on: 4 February, 2019 12:50 PM IST

সম্প্রতি চিনে গবেষণা করে দেখা গেছে বিশেষ এক পদ্ধতিতে গাছের সালোকসংশ্লেষের হার বাড়িয়ে উৎপাদন ২৭ শতাংশ বাড়ানো যায়। এই বায়োইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে সমগ্র বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনের পরিমান বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন সেখানকার গবেষকরা।

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন শক্তির ২০-২৫% ফটোরেসপিরেশন নামের একটি প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়ে যায়। কিছু বিজ্ঞানী এই ফটোরেসপিরেশনকে অ্যান্টিফটেসিন্থেসিস বলছেন কারণ, ফটোরেসপিরেশন -এর ফলে কিছু টক্সিক বাইপ্রোডাক্ট উৎপন্ন হয় যা গাছ থেকে নির্গত হতে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করে নেয় ফলে ফটেসিন্থেসিস বা সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।

চিনের একটি বিজ্ঞানীর দল দেখালেন কিভাবে ফটোরেসপিরেশন পদ্ধতিতে উৎপন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যায়। এই পদ্ধতির নাম ‘জি ও সি বাইপাস’ যা ৩টি উৎসেচকের সাহায্যে গ্লইকোলেট নামের একটি অনু থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করে সেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড কে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে।

এই ভাবে ‘জি ও সি বাইপাস’ পদ্ধতির সাহায্যে ধান উৎপাদন ৭-২৭% বাড়ানো গেছে। ফটোরেসপিরেটরি রেট ৩১% কমিয়ে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ২% অবধি বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। গবেষকদের মতে এইভাবে অন্যান্য জাতের ধান গাছের ওপর পরীক্ষা করে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব। যদিও এই নিয়ে আরো নানা গবেষনাগারে ও সরকারি সংস্থাগুলিতে বিষদ পরীক্ষা নিরিক্ষার প্রয়োজন আছে।

- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)

English Summary: 27 percent increase in rice with the help of bioengeenering
Published on: 04 February 2019, 12:50 IST