বছরের শুরুতেই দুঃখের সম্মুখীন চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলে কর্মরত মানুষেরা। ফের বন্ধ হল এই মিল। মিলের গেটের সামনে দেওয়া হল সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস। বছরের শুরুতেই কর্ম হারাল প্রায় ৪ হাজার কর্মী। জুট মিল বন্ধ হওয়ার কারণ কি সেই বিষয়ে একে অপরের ওপর কাদা লাগাতে ব্যস্ত গোটা রাজনৈতিক মহল। কিন্তু সমস্যা তাঁদের যাদের বাড়িতে এই জুট মিলের সাহায্যে বাড়িতে জুটত দু বেলার খাবার। একে করোনা পরিস্থিতি তার ওপর কাজ বন্ধ। এখন প্রশ্ন একটাই এই চার হাজার কর্মহীন মানুষগুলোর সংসার কিভাবে চলবে।
গত শনিবার চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস গেটের সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। নোটিশ দেখে রীতিমত স্তম্ভিত এই মিলে কর্মরত শ্রমিকরা। বছরের প্রথমদিন এমন একপ্রকার পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে স্বপ্নেও ভাবেননি তাঁরা। রীতিমত ক্ষোভ উগরে দেয় কর্মহীন ব্যক্তিরা। মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সরকার কাঁচা পাটের যে দাম নির্ধারণ করেছে তার থেকে অনেক বেশি দামে মিলকে কিনতে হচ্ছে। তাই আর্থিক সমস্যার কারণে বন্ধ হয়েছে মিল।
প্রসঙ্গত, গত দুবছর করোনার প্রকোপের কারণে বন্ধ ছিল এই মিল। কিন্তু সেই ঝড় কাটিয়ে জুলাই মাসেই আবারও খোলা হয় মিল। তারপর ৫ মাসের মাথায় আবারও মিলে নেমে এল অন্ধকার। এক ধাক্কায় কর্ম হারাল ৪ হাজার কর্মী। আপাতত মিল বন্ধের বিষয় নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা।
Share your comments