এবার চৈত্র মাসেই পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাপিয়ে গেল। এই অবস্থায় কৃষকদের চাষাবাদে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়ে কৃষকদের বিশেষ কিছু পরামর্শ দিয়েছে কৃষি দপ্তর। এখনও বৈশাখ আসেনি। কিন্তু শেষ চৈত্রেই পুরুলিয়া এখন গ্রীষ্মের দাবদাহে জ্বলতে শুরু করেছে।
মার্চের একেবারে শেষ থেকেই এবার চোখ রাঙাচ্ছে জেলার দাবদাহ। সেই সময় ৪০-এ না পৌঁছলেও গত ৩১ মার্চ এই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৫ ডিগ্রি। তবে ২ এপ্রিল তা ৪০- এ পৌঁছে যায়। তারপর ধাপে ধাপে ৪০ পার হয়ে ৪১ থেকে এবার ৪৫ পার হয়ে গেল।
আরও পড়ুনঃ মাঠে উঠছে বোরো ধান,কৃষকদের জন্য় রইল বৈশাখ মাসের কিছু করণীয়
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেমন লাফিয়ে বাড়ছে, তেমনি বইছে লু। গরম হাওয়ায় চোখ মুখ জ্বালা করছে। কাপড়ে মুখ ঢেকে, মাথায় ছাতা, দিলেও অস্বস্তি যেন কাটছে না পুরুলিয়াবাসীর । গতবছর এপ্রিলে এমন দাবদাহ ছিল না এই জেলায়। ৪৫ ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রচন্ড গরমের সাথে পুরুলিয়ার একাধিক গ্রামে শুরু হয়েছে জলকষ্ট। ৩০ ফুট নিচে জলস্তর নেমে যাওয়ায় শুকিয়ে গিয়েছে কুয়ো। নলকূপ থেকে মিলছে না পর্যাপ্ত পরিমানে জল ।কাঁসাই নদী একেবারে শুকিয়ে কাঠ। যেন সরু ফিতের মতো বইছে।
একই সাথে প্রচন্ড গরমে কৃষকদের নানারকম সমস্য়ার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। তাই পুরুলিয়ার উদ্যানপালন দপ্তর কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে। পুরুলিয়া জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের তরফ থেকে এখন চাষিদের জলসেচ বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে।
যখন সূর্য থাকবে না, তখন অর্থাৎ সকালে ও সন্ধেয় জলসেচ দিতে হবে চাষিদের । যাতে জল কম লাগবে। কলসি সেচ, ফোয়ারা সেচে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ ভিয়েতনাম থেকে আসছে লাল কাঁঠাল,চাহিদা বাড়ছে ধীরে ধীরে, আজই শিখে নিন চাষ পদ্ধতি
উদ্যানপালন বিভাগ থেকে পলি মালচিং দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ গাছের গোড়ায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার জন্য কৃষকদের তা বিতরণ করছে উদ্যানপালন বিভাগ। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের গাছের গোড়ায় ধানের তুষ, কাঠের গুঁড়ো দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে ।